উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোনা! বেজিংয়ের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের
করোনার প্রাদুর্ভাবের মূলে উহানের ল্যাব! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের
মানুষ ও করোনা ভাইরাস একই সমাজে সহাবস্থান করছে তাও প্রায় দশ মাসের কাছাকাছি হতে চলল। এখনও পর্যন্ত অধরা ভ্যাকসিন। বিশ্বের অধিকাংশ গবেষক, চিকিৎসক ও মহামারী বিশেষজ্ঞের মতেই, চিনের উহানের একটি মাংসের বাজার থেকেই ছড়িছে মারণ করোনার প্রাদুর্ভাব। উহানের ওই সামুদ্রিক মাংসের বাজারেই বাদুড় বা প্যাঙ্গলিন থেকে মানবশরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটে বলেও জোরালো দাবি করেছে আমেরিকাও। অন্যদিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিকেও।
বারংবার উঠে আসা দাবিতেই সহমত পোষণ বিশেষজ্ঞদের
বিশ্বজুড়ে অনেকবিশেষজ্ঞই আবার দাবি করেন উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষকদের হঠকারিতার জেরেই প্রাথমিক ভাবে চিনে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। যদিও এই দাবি প্রমাণের অভাবে বেশি দিন ধোপে টেকেনি। অন্যদিকে এপ্রিল মাসে, ফ্রান্সের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লুক মন্তেগনারও উহানের মাংস বাজারের নিকটবর্তী গবেষণাগার থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়ে আলোকপাত করেন। এমতাস্থায় সম্প্রতি এক চিনা ভাইরাসবিদের দাবি ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর দাবি, চিনের গবেষণাগার থেকেই যে করোনা উত্পত্তি তার পর্যাপ্ত প্রমাণ নাকি তার কাছে রয়েছে।
লি-মেং ইয়ানের বিস্ফোরক দাবি
চিনের এই ভাইরাসবিদ ডঃ লি-মেং ইয়ান অভিযোগ করেন, করোনা সংক্রমণের খবর চিনা সরকার অনেক আগে থেকেই জানত। সম্প্রতি একটি গোপন সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই দাবি করতে দেখা যায় তাকে। এই জাতীয় অত্যধিক গোপন তথ্য সামনে আনার জন্য প্রাণহানিরও আশঙ্কা করেন তিনি। বর্তমানে চিন প্রশাসনের রোষানল থেকে বাঁচতে তিনি আমেরিকায় আত্মগোপনে রয়েছেন বলেও জানান। এই ক্ষেত্রে হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথের এক উচ্চদস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও একাধিক গুরুতর অভিযোগ করতে দেখা যায় তাকে।
সরকারি চাপে তথ্যপ্রকাশ কঠিন হয়ে পড়ে
হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এ এসএআরএসের উপর গবেষণার পর ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেন ডঃ লি-মেং ইয়ান। সেখানেই প্রথম ওই গবেষণাগারে ভাইরাসের উপস্থিতির কথা প্রকাশ্যে আনা হয়। পাশাপাশি বোঝা যায় কিভাবে ওই অভিযোগ, এই বিষয়ে মুখ খুললে প্রাণহানি ও 'গায়েব' করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় ডঃ লি-কে। সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিওয় ডঃ লি-মেং ইয়ান বলেছেন, "ভাইরাসের জিনের অবকাঠামো মানুষের আঙুলের ছাপের সাথে মেলে। আমি সকলকে জানাব কিভাবে গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে এই কোভিড। আপনার জীববিজ্ঞান সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলেও আপনি আমার তথ্য সম্পূর্ণই বুঝতে পারবেন।"
চিনা সরকারের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর অভিযোগ
ডঃ লি-এর মতে, জিনপিংয়ের সরকার তাদের ডিজিটাল ভান্ডার থেকে এই বিষয়ক সমস্ত তথ্যই মুছে ফেলেছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোরও অভিযোগ এনেছে। তাঁর ধারণা, পুনরায় মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতেই এই পথে হেঁটেছে চিন। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একযোগে ডঃ লি-র বক্তব্যকে 'বিতর্কিত' বলে চিহ্নিতও করেছে।
করোনা সংক্রমণের মূলে তবে কি পেটের সমস্যা? গুগলকে হাতিয়ার করে নয়া রিপোর্ট মার্কিন গবেষণায়