৭১টি মৃতদেহ সমেত উদ্ধার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নিখোঁজ ব্রিটিশ সাবমেরিন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল একটি ব্রিটিশ সাবমেরিন। তারপরে এর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই ৭৩ বছর পরে খোঁজ মিলল সাবমেরিনটির। [সমুদ্রের নিচে আস্ত টেনিস স্টেডিয়াম দুবাইয়ে!]
ইতালির উপকূল থেকে দূরে সমুদ্রের ১০০ মিটার গভীরে খোঁজ মিলেছে সাবমেরিনটির। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৭১টি দেহাবশেষ। এরা সেইসময়ে সাবমেরিনের মধ্যে ছিলেন। [শতবর্ষ পর মহারাষ্ট্রের সমুদ্র উপকূলে দেখা মিলল নীল তিমির]
সাবমেরিনটির ওজন ছিল ১২৯০ টন। ডুবুরিদের একটি দল সারদানিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলে তাবোলারা দ্বীপের কাছে এর খোঁজ পায়। ১৯৪৩ সালের ২ জানুয়ারি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীনই হঠাৎ করে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়ে যায়। [দেখে নিন 'সুন্দরী' জেলিফিশ কতোটা 'প্রাণঘাতী' হতে পারে]
১৯৪২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মালটা থেকে রওনা দিয়ে লা মাদ্দালেনা বন্দরে ঘাঁটি গাড়ে ব্রিটিশ সাবমেরিনটি। উদ্দেশ্য ছিল ইতালিয় সেনাবাহিনীর উপরে আঘাত হানা। তবে তার আগেই সম্ভবত ডুবে যায় এটি। [৪২ ফুটের দীর্ঘদেহী নীল তিমি ভেসে এল মহারাষ্ট্রের সমুদ্রতটে]
এর খোঁজ পাওয়ার পরে ব্রিটিশ জলসেনার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাবমেরিনটির দেহ আজও অক্ষত রয়েছে। একটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভিতরে যারা ছিলেন তাদের নিয়ে ডুবে যায় এটি। সম্ভবত অক্সিজেনের অভাবেই ভিতরের সকলে মারা গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত চলেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এর একদিকে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চিন, ভারতের মতো শক্তি। এদের মিত্রশক্তি বলা হতো। অন্যদিকে ছিল জার্মানি, ইতালি ও জাপানের মতো দেশ যারা অক্ষশক্তি নামে পরিচিত ছিল। এই অক্ষশক্তিকে হারিয়ে জয় পেয়েছিল মিত্রশক্তির জোট।