রিলায়েন্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতেই অ্যাপেলকে ছাড়িয়ে গেল সৌদি অ্যারামকো
অনেকটা ভাগ্য লক্ষ্মীর মতোই কাজ করেছে রিলায়েন্সে বিনিয়োগ। এক ধাক্কায় সৌদি সংস্থা অ্যারামকো ছাপিয়ে গিয়েছে অ্যাপেল, এক্সন, শেলের মতো সংস্থাকে।
অনেকটা ভাগ্য লক্ষ্মীর মতোই কাজ করেছে রিলায়েন্সে বিনিয়োগ। এক ধাক্কায় সৌদি সংস্থা অ্যারামকো ছাপিয়ে গিয়েছে অ্যাপেল, এক্সন, শেলের মতো সংস্থাকে। এই তিন সংস্থা একযোগে যতটা লাভ করতে পারে, তার থেকেই বেশি লাভ করেছে সৌদির এই সংস্থা। কাজেই অ্যারামকোকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক সংস্থা বলাই যায়। বছরে যে সংস্থার লাভ করে ১১১ বিলিয়ন ডলার।
এককথায় সৌদি আরবের তেল ব্যবসার একক বাদশা বলাই যায় অ্যারামকোকে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক সংস্থা এটি। সেই সংস্থার সঙ্গে জোট বাঁধায় একদিনেই রিলায়েন্সের শেয়ার ৮০,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। শেয়ারের এই মন্দার বাজারেও রিলায়েন্সে কিন্তু কোনও প্রভাব পড়েনি। তেলের রপ্তািন বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ রয়েেছ সৌদির এই সংস্থার হাতে।
দিনে ৯.৬ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করে অ্যারামকো। তার থেকে ৫০০,০০০ ব্যারেল রিলায়েন্সেকে প্রতিদিন পাঠাবে এই সংস্থা। জুনাগড় পরিশোধন কেন্দ্রে যাবে এই তেল। কাজেই বোঝা যাচ্ছে ভারতেও তেলের বাজার ধরতে বেশি সময় নেবে না অ্যারামকো। রিলায়েন্সের মাধ্যমেই পেট্রোল-ডিজেল সহ একাধিক পেট্রোপণ্যের বাজার ধরে ফেেলছে সৌদি আরবের এই সংস্থা।
তেল উত্তোলন করা মূল কাজ হলেও এই সংস্থা গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন তেল পরিশোধনকারী সংস্থার শেয়ার কিনতে শুরু করেছিল। সেই সুবাদেই রিলায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। গ্রিস, চিন, জাপান এমনকী আমেরিকাতেও এই সংস্থার তেল পরিশোধনাগার রয়েছে। এই বছরই এই সংস্থা প্রথম তার লভ্যাংশের হিসেব প্রকাশ্যে এনেছে। তাতেই ব্যবসায়ীক মহলে প্রায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।