রহস্যজনক কিছু হাড়হিম করা কিছু খুন , যার কিনারা হয়নি! অপরাধীর ঘটনা আজও গায়ে কাঁটা দেয়
হাড়হিম করা কয়েকটি রহস্যজনক খুন, যার কিনারা আজও হয়নি!
কোথাও একের পর এক বারাঙ্গনার মৃত্যু কোথাও আবার মহিলার দেহ থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে একটি স্তন। গত কয়েক'শো বছরে এই বিশ্বে এমন কিছু নারকীয় অপরাধ হয়েছে, যার রহস্য আজ পর্যন্ত ভেদ করা যায়নি। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে এমন বহু হত্যাকাণ্ড হয়ে গিয়েছে, যার আসল অপরাধী পর্যন্তই পৌঁছতে পারেনি পুলিশ। বিশ্বের এমনই কিছু আশ্চর্যজনক ঘটনা একনজরে দেখে নেওয়া যাক, যা বিভিন্ন যুগে কেড়েছে সংবাদের শিরোনাম।
'জোডিয়াক কিলার' রহস্য
ঘটনা ১৯৬৮ থেকে ১৯৬৯ সালের। সেই সময় সান ফ্র্যান্সিসকো জুড়ে তোলপাড় শুরু হয় এক 'জোডিয়াক কিলার'কে ঘিরে। ঘটনার সূত্রপাত , একটি পার্কিং এ দুই কিশোরের হত্যা ঘিরে। যাদের গুলি করে মারা হয়। এরপর থেকেই পুলিশ পেতে থাকে কিছু অদ্ভুত চিঠি। ।যেখানে 'কোডে' লেখা থাকে বার্তা। চিঠিতে লেখা থাকে 'জোডিয়াক ' বা রাশিফল ঘিরে কিছু সংকেত। পুলিশের কাছে পাঠানো চিঠিতে সে দাবি করে সে একের পর এক খুন করেছে। চিঠিতে লেখা থাকে 'আমার খুন করতে মজা লাগে'। প্রতিটি চিঠিতে থাকে রাশিফল ঘিরে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন। যদিও ওই চিঠি প্রাপকের পরিচিত নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
'জ্যাক দ্য রিপার'
বিশ্বের অপরাধের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক হত্যাকারী 'জ্যাক দ্য রিপার' নামে কুখ্যাত। যাকে আজ পর্যন্ত চিনতে পারেনি প্রযুক্তিতে এগিয়ে চলা এই বিশ্ব! ১৯৮৮ সালে তদন্তকারী সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্তে নামে ৫ মহিলার খুনের কিনারা করতে। যে মহিলারা সকলেরই পতিতাপল্লীর সদস্য। আর মৃত্যুর সময় তাঁরা প্রত্যেকেরই আকণ্ঠ মদ্যপান করেছিলেন। যাঁদের খুন করে, পেটের নাড়ি ভুঁড়ি বের করে নেওয়া হয়েছে। এই খুনির নাম 'জ্যাক দ্য রিপার' হিসাবে উঠে আসে। তবে এই খুনির কিনারা কোনও দিনই করা যায়নি।
দাহালিয়ার নারকীয় মৃত্যু!
১৯৭৪ সালে এলিজাবেথ শর্ট রাতারাতি খবরে আসেন 'ব্ল্যাক দাহালিয়া' নামে । কারণ এই মহিলা কালো জামাকাপড় পরতে ভালোবাসতেন। আর যখন তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, তখন দেখা যায়, মৃতদেহটি কেউ নিখুঁতভাবে ছেদ করে গিয়েছে। প্রতিটি অঙ্গ সেখানে কাটা। আর এই দেহাংশ থেকে লোপাট হয়ে যায় মহিলার একটি স্তন। তবে এমন নারকীয় হত্যা কে করেছে, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। যার উত্তরের খোঁজ দিতে পারেননি বহু বিশেষজ্ঞও।
রামসে পরিবারের খুন
অনেকেই এই খুনের সঙ্গে ভারতের তলোয়ার পরিবারের মেয়ে আরুষির খুনের ধরনের মিল পেতে পারেন। তবে ১৯৯৬ সালে কলোরাডোর এই ঘটনা সকলকে অবাক করে। রামসে পরিবারের ছোট্ট ৬ বছরের জন বেনেটের দেহ উদ্ধার হয় ক্রিস্টমাসের পরের দিন বাড়ির বেসমেন্ট থেকে। প্রাথমিকভাবে সকলেই জনের বাবা মাকে সন্দেহ করেন। তদন্ত এগিয়ে যেতে থাকে। ফুটফুটে জন বেনেটের দেহে মারধরের দাগ স্পষ্ট হয়। ছোট্ট মেয়েটিকে কে মুখ বেঁধে ফেলে রেখে যায় , তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সন্দেহ যায় তার বাবা মায়ের দিকে। তবে কোমও মতেই জনবেনেটের বাবা মাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। প্রমাণিত হয়নি অভিযোগ। আর এভাবেই এই হত্যা 'রহস্য' হিসাবে থেকে যায়।