For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

বাংলাদেশে পদ্মার ওপর সেতু তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে, কবে সম্পূর্ণ হবে, কী বলছেন প্রযুক্তিবিদরা

২০১৯ সালেই পুরো পদ্মা সেতু তৈরির কাজ শেষ করা যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্পের বিশেষজ্ঞরা। ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৫৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

  • |
Google Oneindia Bengali News

২০১৯ সালেই পুরো পদ্মা সেতু তৈরির কাজ শেষ করা যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্পের বিশেষজ্ঞরা। ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৫৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, এ বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মূল সেতুর ৫৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

২০১৯-এর মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে পদ্মায় সেতু তৈরির কাজ

প্রযুক্তিবিদরা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পিলার সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে। নদীর মধ্যে থাকা ৪০টি পিলারের মধ্যে ২২টির নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তিত নকশা অনুযায়ী বেশ কয়েকটি পিলারের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৫৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শনের সময় সচিব এ তথ্য জানান।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী জানিয়েছেন, ২২টি পিলারের মধ্যে বেশির ভাগ পিলারের নতুন নকশা গত ১৯ মার্চ মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কাছে পাঠানো হয়েছে। বাকি নকশা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেগুলো দ্রুতই তাদের কাছে পাঠানো হবে। এখন আর কোনও বাধা নেই।

অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী জানিয়েছেন, পাইলের সংখ্যা বাড়লেও এর দৈর্ঘ্য কমে গেছে। তাই পিলারে পাইলের সংখ্যা বাড়ানো হলেও পদ্মা সেতুর ব্যয়বৃদ্ধি নাও হতে পারে। নকশার সমাধান হওয়ায় সেতুর অবশিষ্ট কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে করা যাবে।

নদীর তলদেশের গভীরে নরম মাটির স্তর থাকায় হ্যামার দিয়ে পাইল বসাতে গিয়ে ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৫ নম্বর পিলারের কাজে সমস্যা দেখা যায়। তাই এই ১৪টি পিলারের নকশা চূড়ান্ত করা যাচ্ছিল না। সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করে ব্রিটিশ সংস্থা কাউই (COWI) ইউকে লিমিটেড। কাউই ইউকের বিশেষজ্ঞরা মাটি পরীক্ষার প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েকটি বিদেশি সংস্থা।

পরিবর্তিত নকশায় ২২টি পিলারের দৈর্ঘ্য অবস্থান অনুযায়ী কম হবে। নদীর নিচের মাটির স্তর ছাড়াও ভূমিকম্প, সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন ও যানবাহনের চাপ, বাতাসের চাপ ও স্টিমার চলাচলের চাপ বিবেচনা করে পাইলগুলোর গভীরতা ও দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু হচ্ছে দ্বিতল। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরিয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬. ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। পিলারের ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে, এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট পিলার হবে ৪২টি। এর মধ্যে নদীতে থাকবে ৪০টি পিলার। এক পিলার থেকে আরেক পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হবে। ৪২টি পিলারের ওপর এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে সমুদ্রপথে জাহাজে করে আনা হয় বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের আগেকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার পদ্মা সেতু প্রকল্প পাস করে। পরে আওয়ামি লিগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ব্যয় আরও আট হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়। ফলে পদ্মা সেতুর ব্যয় দাঁড়িয়েছে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

English summary
Works of the Padma Bridge in Bangladesh would be finished within 2019
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X