পৃথিবীতেই আছে এক আশ্চর্য জায়গা! যেখানে জল নিচে পড়ে না, ভাসতে থাকে উপরে
পৃথিবীতেই আছে এক আশ্চর্য জায়গা! যেখানে জল নিচে পড়ে না, ভাসতে থাকে উপরে
এ গ্রহের আর কতটুকুই বা জানা গিয়েছে! জানেন কি, পৃথিবীতে এমনই এক আশ্চর্য জায়গা রয়েছে, যেখানে জল নিচে পড়ে না, জল ফেললে তা হাওয়ায় ভাসতে থাকে উপরে। অবাক কাণ্ড একেবারে। তবে ভাববেন না যেন এসব ভুতুড়ে কাণ্ড-কারখানা। এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। পৃথিবীর এই স্থানের অবস্থান এমনই এক জায়গায়, যেখানে জল নিচে পড়ে না!
যেখানে জল নিচে না পড়ে হাওয়ায় ভাসে
ভূ-বিজ্ঞানীরা এই অদ্ভুত-কাণ্ডের কারন ব্যাখ্যা করেছেন। নিশ্চয় সবরা আগে জানতে ইচ্ছা করছে, সেই স্থান কোথায়? কোথায় ঘটে এই বিরল ঘটনা। যেখানে জল নিচে না পড়ে হাওয়ায় ভাসে। আগে কারণটা শুনুন। ভূ-বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এমনটি হওয়ার আসল কারণ হল- পৃথিবীর ওই স্থানে মাধ্যাকর্যণ শক্তির অনুপস্থিতি।
পৃথিবীতেও এমন কাণ্ড। কোন সে জায়গা!
পৃথিবীরই কোনও এক স্থান, সেখানে আবার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। তা তো শুধু মহাশূন্যেই হয়। তাই তো মহাকাশচারীরা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে ভাসতে থাকে। কিন্তু পৃথিবীতেও এমন কাণ্ড। কোন সে জায়গা! এমন জায়গা কোথায়, তা জানার কৌতুহল তো থাকবেই। পৃথিবীর সেই অদ্ভুত স্থান হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুভার ড্যাম।
কোথায় অবস্থিত বিশ্বের বিস্ময় ওই জায়গা
আমেরিকার এই বাঁধে গেলে অবাক বনে যাবেন আপনিও। আমেরিকা নেভাডা ও অ্যারিজোনার সীমান্ত এলাকায় কলোরাডো নদীর উপরে গড়ে উঠেছে এই হুভার বাঁধ। এই বাঁধের কাঠামো এমনই এক শক্তিশালী আপড্রাফ্ট সৃষ্টি করেছে, যার ফলে এখানকার বায়ু সব কিছুকে ধাক্কা দিয়ে উপরে পাঠিয়ে দিতে থাকে।
জল বা বস্তু থাকে বাঁধের সমান্তরাল লাইনে
হুভার বাঁধের আকৃতি ধনুকের মতো। যে কারণে এখানকার বাতাস জলকেও ধাক্কা দিয়ে উপরের দিকে তুলে দেয়। এমনকী এই স্থানে কোনও বস্তুকে টস করা হলে, ওই বস্তু বাঁধের সমান্তরাল লাইনে রয়ে যায়। জলও বাঁধের সমান্তরাল লাইনে থাকে। আর আপনি যে কোনও বস্তু ছুড়লেও তা ওই লাইনেই রয়ে যাবে, নিচে পড়বে না।
বাঁধটি হাইড্রোইলেকট্রিক পদ্ধতিতে ইনস্টলেশন করা
একেবারেই রহস্যময় এই দৃশ্য। তা দেখতেই বহু পর্যটক যান হুভার বাঁধে। সেখানে ঘুরতে গিয়ে হাতেনাতে তাঁরা যাচাই করে দেখেন এইসব কাণ্ড-কারখানা। আমেরিকার এই বাঁধটি হাইড্রোইলেকট্রিক পদ্ধতিতে ইনস্টলেশন করা হয়েছিল। তা ৯০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় রয়েছে। বাঁধটির নান্দনিক সৌন্দর্যও রয়েছে।
দুটি ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান এই বাঁধ
এই আশ্চর্য বাঁধটির দৈর্ঘ্য ১২২৪ ফুট এবং উচ্চতা ৭২৬ ফুট। আর বাঁধটির পরিধি ৬৬০ ফুট। দুটি ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান এই বাঁধটি ১৯৩১ সালে নির্মাণ শুরু হয়। আর শে, হয় ১৯৩৬ সালে। অর্থাৎ পাঁচ বছরেরও সময় লাগে বাঁধটি নির্মাণ করতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হার্বার্ট হুভারের নামে এই বিরল বাঁধটির নামকরণ হয়। প্রকৃতিপ্রেমীরা এই বাঁধের প্রেমে পড়বেনই।