শূন্য সহনশীলতা নীতি, 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি'-র উপরে চড়ে প্রতিবাদ অভিবাসী মহিলার
আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি'-র উপরে চড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শূন্য সহনশীলতা নীতির প্রতিবাদ জানালেন এক মহিলা।
'স্ট্যাচু অব লিবার্টি'-র উপরে চড়ে, অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শূন্য সহনশীলতা নীতির প্রতিবাদ জানালেন এক মার্কিন মহিলা। তাঁকে অবশ্য নিরাপদে নিচে নামিয়ে আনে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। এনিয়ে বুধবার চাঞ্চল্য ছড়ায় লিবার্টি আইল্যান্ডে।
৪ জুলাই ছিল আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে আমেরিকার স্বাধীনতার প্রতীক স্ট্যাচু অব লিবার্টি চত্বরে প্রচুর লোক সমাগম হয়েছিল। কিন্তু এই দিনটিকেই অভিবাসীদের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের নক্কারজনক আচরণের প্রতিবাদ জানানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন ৪৪ বছরের থেরেসে প্যাট্রিসিয়া ওকুমোউ।
দুপুর ৩টে নাগাদ নিউ ইয়র্ক পুলিশ খবর পায় এক মহিলা স্ট্যাচু অব লিবার্টির উপরে উঠে পড়েছেন। এই মূর্তির পাদদেশে অবধি ওঠার সিঁড়ি রয়েছে। দর্শনার্থীদের সেই অবধিই উঠতে দেওয়া হয়। সেখান থেকে নিচের দৃশ্য দেখতে অনেকেই ওঠেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখে থেরেসে তারও উপরে মূর্তি বেয়ে অনেকটা উঠে গিয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করছেন।
পুলিশের দাবি প্রথমে থেরেসে তাদের সঙ্গে বিরোধমূলক আচরণই করেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে তাঁর বিশ্বাস অর্জন করে এনওয়াইপিডি। তারপরই তিনি পুলিশের সঙ্গে নিচে নেমে আসতে রাজি হন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টা নাগাদ পুলিশ মূর্তির গায়ে বিশেষ মই লাগিয়ে তাঁকে নিচে নিয়ে আসে।
জানা গিয়েছে তিনি নিজেও একজন অভিবাসী। বেশ কয়েক হছর আগে আমেরিকায় এসেছিলেন কঙ্গো থেকে। এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসনের শূন্য সহনশীলতা নীতির প্রতিবাদে তিনি সামিল হয়েছিলেন। এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে রাইস অ্যান্ড রেসিস্ট নামে একটি গোষ্ঠী। বুধবার সকালেই তারা স্ট্যাচু অব লিবার্টির উপরে এই নীতি প্রত্যাহারের সমর্থনে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছিল। সেই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়।
Rise and Resist is at the Statue of Liberty demanding Trump and the GOP #AbolishICE, reunite families now, halt deportations, and end detention as a deterrent. #EndFamilySeparation #AbolishCBP #FreeOurFuture #HereToStay pic.twitter.com/panS03KTFe
— Rise and Resist (@riseandresistny) July 4, 2018
থেরেসে এই গ্রুপের সঙ্গেই প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু সেই বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি সেখানে থেকে যান এবং নিজের উদ্যোগে আরও কয়েক কদম এগিয়ে যান। প্রথমে অবশ্য রাইজ অ্যান্ড রেসিস্ট থেরেসে-কে তাদের সদস্য হিসেবে স্বীকার করেনি। পরে জানানো হয়, থেরেসের আগে থেকে এরকম পরিকল্পনা করে এসেছিলেন, নাকি মুহূর্তের উত্তেজনায় এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা তারা জানেন না।
Rise and Resist planned a banner drop today at the Statue of Liberty. This action did not include the climber on the statue. Our action was completed earlier. While it was not part of our action, our first priority and concern is for the safety of the climber.
— Rise and Resist (@riseandresistny) July 4, 2018
উদ্ধার প্রক্রিয়া চলাকালীন অবশ্য দর্শনার্থীদের সবাইকে লিবার্টি পার্কের বাইরে বের করে দিয়ে পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। স্বাদীনতা দিবসের ছুটু কাটাতে এদিন লিবার্টি পার্কে অনেকেই এসেছিলেন। কিন্তু তিন ঘন্টার এপর পার্ক বন্ধ থাকায় অনেককেই ফিরে যেতে হয়। তাদের অনেকেই হতাশ হলেও জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতি যে তারাও মেনে নিতে পারছেন না।