ছ’মাসেই পাকিস্তানে হ্রাস পেতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস, ধন্দে খোদ বিশেষজ্ঞ–চিকিৎসকরা
পাকিস্তানে হ্রাস পেতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারি দশ মাসে পা দিলেও পাকিস্তানে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে ছ’মাস। কিন্তু এই কয়েক মাসেই বিশাল ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ইমরান খানের এই দেশের। শহরাঞ্চলের ভিড় ও হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া রোগী দেখে বিস্মিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে হ্রাস দেখা দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবে বিশেষজ্ঞদের মনে বহু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানে মৃত্যুর সংখ্যা দশেরও কম
এই দেশে প্রাথমিকভাবে সংক্রমণের বৃদ্ধি পাওয়ার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহে তা কমতে দেখা যায়, ভারতে যেখানে করোনায় প্রতিদিন কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, সেখানে পাকিস্তানে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দশেরও কম। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে যক্ষ্মা, পোলিও, হেপাটাইটিসের মতো অগণিত সংক্রমক রোগগুলি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। যদিও দেশের বিভিন্ন সময়কার সরকার দশকের পর দশক ধরে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করে চলেছে। এরই মধ্যে বহু পাকিস্তানি জনবহুল এলাকা, বহু প্রজন্ম ধরে একই বাড়িতে বা ভর্তি বহুতলে বসবাস করছেন, যেখান থেকে সহজেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
করোনা ভাইরাস হ্রাসের কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই
লাহোরের পূর্ব শহরের এক হাসপাতালের চিকিৎসক সলমন হাসিব এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই হ্রাস পাওয়ার কারণ নিয়ে কেই কোনও ব্যাখা দিতে পারবে না। আমাদের কাছে কোনও জোরদার ব্যাখা নেই।' যদিও পাকিস্তানিরা নিজেদের মত করে এর ব্যাখা সাজিয়ে নিয়েছে। কারোর মতে দেশের আবহাওয়ার কারণেই এই মহামারি বেশিদিন টিকবে না, কেউ কেউ আবার দেশের তরুণ প্রজন্মকেই সব অবদান দিয়েছে এবং গরম ও আদ্রতাপূর্ণ জলবায়ুর জন্য স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে বলেও অপ্রমাণিত দাবিও কেউ কেউ করছেন। তবে এই সব কিছুরই কোনওটাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। যদিও এই দেশে তরুণদের তুলনায় বয়স্কদেরই কাবু করছে করোনা ভাইরাস।
করোনা সংক্রমণ কমছে
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এখনও পর্যন্ত ২৯৫,০০০ সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং প্রতিদিন একশোর কিছু বেশি নতুন সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন যে কেবল সীমিত সংখ্যার টেস্টিংয়ের মাধ্যমে সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত বেশি। লাহোরে হওয়া টেস্টিং-এ দখা গিয়েছে যে শহরের জনসংখ্যার সাত শতাংশ করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু গোটা পাকিস্তানে হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য বলছে সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে।
দেশে সংক্রমণ বাড়ায় নিন্দিত হয় ইমরান সরকার
প্রথমদিকে পাকিস্তানে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার দরুণ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী মরান খানকে। এমনিতেই দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দুর্বল ও স্বাস্থ্যখাতে অর্থও অত্যন্ত সামাণ্য, এ সব কিছুর মাঝে অর্থনীতি ফেরাতে দেশে তড়িঘড়ি লকডাউন তুলে দেয় ইমরানের সরকার। কিন্তু এতসব কিছুর পরও বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আশ্চর্যজনকভাবে পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণ কমতে দেখা দেওয়ায় অবাক বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকরা।
শক্তি বাড়াচ্ছে লালফৌজ, বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী রয়েছে বেজিংয়ের হাতেই! সতর্কবার্তা পেন্টাগনের