দেউলিয়া দেশ, খাবার নেই-ওষুধ নেই, ভারতের কাছে ভিক্ষে চাইছে পাকিস্তান
দেউলিয়া দেশ, খাবার নেই-ওষুধ নেই, ভারতের কাছে ভিক্ষে চাইছে পাকিস্তান
দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। খাবারের জন্য রাস্তায় মারামাির করছে মানুষ। গমের দাম আকাশ ছোঁয়া। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তান। চাপে পড়ে শেষে সেই ভারতের কাছেই হাত পাততে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
সূত্রের খবর সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাদ শরিফ সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল। তাতে সৌদি আরব পাকিস্তানকে বিদেশনীতিতে সংশোধন করতে বলেছে। এবং ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করার বার্তা দিয়েছে। তারপরেই সব দিক থেকে চাপে পড়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর এই শান্তি আলোচনার প্রস্তাব বলে জানা গিয়েছে।
ক্ষিদের জ্বালায় অস্থির প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান। একই সময়ে দুই দেশ স্বাধীনতা পেলেও ভারত ক্রমশ এগিয়ে গিয়েছে। আর সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত পাকিস্তান ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে। আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে। যেই সরকারে এসেছে সেই হাত খুলে কেবল খরচ করেছে। নেতা মন্ত্রীরা ২ হাতে সরকারি টাকা লুঠ করেছে। তার মাশুল দিচ্ছে আম জনতা। পাকিস্তানে এখন শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রবল খাদ্য সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। গমই এখানকার প্রধান খাদ্য আর সেই গমের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। যারা সুযোগ পাচ্ছে তাঁরা দেশ ছাড়তে শুরু করে দিয়েছে। বিত্তশালীদের অধিকাংশই বিদেশে থাকতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁরা পাকিস্তানে থাকতে চাইছেন না। এদিকে পাকিস্তানের যে কী কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি দেখলেই বোঝা যায়। অসংখ্য মানুষ গমের জন্য হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ছেষ। অগ্নিমূল্য গমের দাম। যেখানে গমের সন্ধান পাচ্ছেন মানুষ সেখানে শুরু হয়ে যাচ্ছে হুড়ো হুড়ি। তারউপরে ওষুধের সংকট। করোনা কালে পাকিস্তানকে ওষুধ সরবরাহ করেছিল ভারত। কিন্তু তারপরেও ভারতের বিরোধিতা করতে ছাড়েননি পাকিস্তানের মন্ত্রীরা।
চাপে পড়েই শেষে ভারতের কাছে হাত পাতছে পাকিস্তান। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর পাকিস্তানের ভাড়ে মা ভবানী দশা আরও প্রকট হয়েছে। কোষাগার একেবারে খালি। তার উপরে দেনার দায়। শেষে বাধ্য হয়েই সেনাবাহিনীতে বাজেট বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
৩৭০ ধারা কাশ্মীরে পুনর্বহাল হলেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব, বিতর্কের পারদ চড়ালেন শাহবাজ শরিফ