সরকার গড়েই কাশ্মীর নিয়ে উল্টো সুর তালিবানদের, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত
সরকার গড়েই কাশ্মীর নিয়ে উল্টো সুর তালিবানদের, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত
গোটা আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের প্রতি তাদের অবস্থান নিয়ে বাড়তে থাকে চাপানৌতর। এমনকী আফগান মাটিতে তালিবানি উত্থানের প্রভাব নিয়ে জল্পনা বাড়তে থাকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। এদিকে গত মাসেই তালিবানরা বলেছিল কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে তারা নাক গলাবে না। কিন্তু মার্কিন সেনা বিদায়ের পর সেদেশে সরকার গড়েই এবার বদলে গেল পুরনো সুর।
সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত
কাশ্মীর নিয়ে নাকি তাদের কথা বলার পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে দাবি করে বসলেন তালিবানি মুখোপাত্র সুহেল শাহিন। এদিকে কয়েকদিন আগেই উপমহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে ভারতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ারই বার্তা দিয়েছিল তালিবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা স্ত্যানেকজাই। অন্যদিকে কাতারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার সময়েও এই বিষয়ে আলোচনা হয় তালিবান নেতাদের। সেখানেও তাদের সাফ জানানো হয় আফগান মাটি ব্যবহার করে কোনোভাবে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।
কাশ্মীর নিয়ে ডিগবাজি
কিন্তু এবার আফগানিস্তানে সরকার গড়তেই কার্যত ইউ-টার্ন নিতে দেখা গেল তালিবানদের। সম্প্রতি বিবিসি ঊর্দু নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন দাবি করেন, 'মুসলিম হওয়ার কারণ আমাদের কাশ্মীর নিয়ে কথা বলার পূর্ণ অধিকার রয়্ছে। প্রয়োজনে ভারতীয় মুসলিদের হয়েও আওয়াজ তুলবো আমরা।' তার এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর চাপানৌতর শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক আঙিনায়।
অস্ত্র তুলবে না তালিবান
সুহেল শাহিন আরও বলেন, 'ইসলামীরা ইসলামীদের জন্য আওয়াজ তুলবে এটাই স্বাভাবিক। কাশ্মীর কিংবা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে থাকা মুসলমানদের জন্যও আওয়াজ তোলা হবে। সেটা মাথায় রাখুন'। যদিও শাহিনের দাবি, কোনও দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলবে না তালিবান। যদিও সেই কথারও কতটা বাস্তব ভিত্তি রয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানৌতর।
কাশ্মীরে বড় হামলার ছক?
অন্যদিকে সম্প্রতি তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জইশ-ই- মহম্মদের শীর্ষ নেতা মাসুদ আজহার। ছক কষা হচ্ছে ভারতে হামলার। বড় হামলা হতে পারে কাশ্মীরে। এমনটাই খবর ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে। এমতাবস্থায় মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তালিবানদের এই উল্টো সুরে সাবধানী নজর রাখছে ভারতও। এদিকে আফগানিস্তানের মাটি কোনোভাবেই যে ভারত বিরোধী কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বৃহঃষ্পতিবারই সে বিষয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিকে।