উত্তেজনা বাড়িয়ে ইউক্রেনের বুকে 'ভয়ঙ্কর হামলা'! কি বলছেন রুশ প্রেসিডেন্ট
যুদ্ধ নয়, শাস্তি চায় রাশিয়া। এই অবস্থায় ফের একবার আলোচনার বার্তা দিল মস্কো। আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পুতিন। সেখানে তাঁর দাবি, মস্কো তৈরি আলোচনার জন্যে। আমেরিকা এবং ন্যাটোর সঙ্গেও আলোচন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি
যুদ্ধ নয়, শাস্তি চায় রাশিয়া। এই অবস্থায় ফের একবার আলোচনার বার্তা দিল মস্কো। আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পুতিন। সেখানে তাঁর দাবি, মস্কো তৈরি আলোচনার জন্যে। আমেরিকা এবং ন্যাটোর সঙ্গেও আলোচন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। আর সেই বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন পুতিন। তবে তিনি জানান, আমেরিকা কিংবা ন্যাটো কখনই রাশিয়ার দাবি মানতে চাইছে না। আর এখানেই জটিলতা আটকে আছে বলে দাবি রাশিয়ার।
আর এর মধ্যেই ইউক্রেনের বুকে ভয়ঙ্কর হামলা। তবে সাইবার নয়, সাইবার হামলা হয়েছে বলে খবর। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে ক্র্যাশ করে গিয়েছে। এছাড়াও একাধিক ব্যাঙ্ক, পেমেন্ট অ্যাপ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই হামলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এজন্যে রাশিয়াকেই দোষ চাপিয়েছে ইউক্রেন।
অন্যদিকে মার্কিন রক্ষামন্ত্রকের তরফে পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাশিয়া বুধবার ইউক্রেনের উপর হামলা চালাবে। সব কিছু ঠিক থাকলে নাকি সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই হামলা শুরু হবে। মধ্যরাতে অর্থাৎ রাত তিনটের সময় নাকি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই হামলার নির্দেশ দেবেন। রাশিয়ার টার্গেটে রয়েছে মারিয়াপোল। এই শহর রাশিয়া থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ইতিমধ্যে সীমান্তে ব্যাপক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে। রাশিয়ার প্রায় দুই লাখ সেনা ইউক্রেনের উপর হামলা চালাবে বলে দাবি।
যদিও এর আগে ন্যাটোর তরফে দাবি করা হয়েছিল রাশিয়ার সেনা ক্রমশ পিছনোর দিকে যাচ্ছে। যদিও এই খবরে ইউক্রেনের মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগে আমরা দেখব এরপরেও সবটা বিশ্বাস করব।
অন্যদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতিও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কার্যত একমত। Vladimir Zelensky-তাঁর এক পোস্টে আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন, বুধবার রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনের উপর হামলা শুরু হবে। এই অবস্থায় গোটা বিশ্ব এখন ইউক্রেন পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে।
এই অবস্থায় সেখানকার ভারতীয় মিশন ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফিরতে বলল। বিশেষ করে যে সমস্ত ভারতীয়দের ইউক্রেনে থাকা অপরিহার্য নয়, তাদের ভারতে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। যারা একেবারেই ফিরতে পারবেন না তাঁদের ভারতীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ রেখে চলার কথা বলা হয়েছে।
যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারতীয়দের ফেরার ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কায় বহু দেশ বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। টিকিটের চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে না। দামও আকাশ ছোঁয়া। এছাড়াও বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে বিপদের মধ্যে আটকে পড়েছে বহু মানুষ। যদিও এই অবস্থায় ভারতের তরফে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে চরম পরিস্থিতি।
অনেকে এই সংকটের মধ্যেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।