"ইসলাম ধর্মগ্রহণ করলে তবেই মুক্তি পাবে", খুনে অভিযুক্ত ৪২জন খ্রিস্টানকে শর্ত পাকিস্তানে
খুনের দায়ে অভিযুক্ত ৪২ জন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীকে লাহোর আদালতের সরকারি আইনজীবী শর্ত দিলেন, "যদি খ্রিস্ট ধর্ম থেকে রূপান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করো তাহলেই নিশ্চিতভাবে বেকসুর মুক্তি পাবে।"
ইসলামাবাদ, ৩০ মার্চ : খুনের দায়ে অভিযুক্ত ৪২ জন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীকে লাহোর আদালতের সরকারি আইনজীবী শর্ত দিলেন, "যদি ইসলামের স্তূতি করো ও খ্রিস্ট ধর্ম থেকে রূপান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করো তাহলেই নিশ্চিতভাবে বেকসুর মুক্তি পাবে।" পাকিস্তানের বিখ্যাত সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রাইব্যুনে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে যোহানাবাদে চার্চে আত্মঘাতী হামলায় জড়িত দুজন ব্যক্তিকে জনরোষের প্রেক্ষিতে হামলা চালিয়ে মেরে ফেলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানে অন্যতম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় খ্রিস্টান সমাজের ৪২ জন মানুষকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যোহানাবাদের সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরা মনে করেছেন ওই দুই ব্যক্তিই আত্মঘাতী হামলা ঘটানোর পিছনে অন্যতম চক্রী ছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এতজন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীকে গ্রেফতার করা হয়। এবং সন্ত্রাসবাদ আদালতে তাদের ট্রায়াল চালানো হচ্ছে।
সেখানেই সরকারি আইনজীবী সঈদ আনিস শাহ অভিযুক্তদের ইসলাম গ্রহণ করতে ও তার স্তূতি করতে পরামর্শ দেন। বদলে তাদের বেকসুর খালাস করার গ্যারান্টি দেন। পরে সংবাদপত্রের তরফে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আইনজীবী শাহ প্রথমে তা অস্বীকার করলেও পরে জানান, হয়ত তিনি এমন প্রস্তাব দিয় থাকতে পারেন।