বাগে আনা যাচ্ছে না দাবানল, ক্যালিফর্নিয়ায় মৃত বেড়ে ২৩
কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না ক্যালিফর্নিয়ার ভয়ঙ্কর দাবানলকে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হয়েছে বলে ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না ক্যালিফর্নিয়ার ভয়ঙ্কর দাবানলকে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হয়েছে বলে ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তারপর ঝোড়ো হাওয়ায় আগুন ক্রমশই ছড়াচ্ছে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর। ক্যালিস্টোগা শহরের দিতে এগোচ্ছে দাবানল।
এরইমধ্যে নতুন করে শুকনো ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সেদেশের আবহাওয়া দফতর। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভয়ঙ্কর দাবানলের গ্রাসে এখনও পর্যন্ত ৬৯ হাজার হেক্টর জমি চলে গিয়েছে। ক্যালিস্টোগা এলাকার ৫ হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ক্যালিস্টোগাতেই নাপা ভ্যালি উপজাতির বাস। সেখানকার ওয়াইনও খুবই বিখ্যাত। কিন্তু আগুনের জেরে সেই ওয়াইন চাষ ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মূলত শুকনো হাওয়ার সঙ্গে বনাঞ্চলের শুকনো কাঠ আগুনের তেজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সান্তা রোসা শহরের একাংশ একেবারেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ৭৩টি হেলিকপ্টার, ৩০টি এয়ার ট্যাঙ্কার ও ৮ হাজার দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও আমেরিকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অতিরিক্ত ২০০টি দমকলের ইঞ্জিন ক্যালিফর্নিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
বিধ্বংসী দাবানলে ২৩ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি প্রায় ৩০০ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছেন ক্যালিফর্নিয়ার শেরিফ। তবে তারা আদৌ আগুনের গ্রাস হয়েছেন নাকি বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেননি, সেবিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আপাতত প্রকৃতিই ভরসা বলে মনে করা হচ্ছে। আবহাওয়ার উন্নতি হয়ে জোর বৃষ্টি নামলে তবেই একমাত্র এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে মনে করছেন ক্যালিফর্নিয়াবাসী।