'মিল অর্ডারিং অ্যাফেয়ার', ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ
প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু।
'মিল অর্ডারিং অ্যাফেয়ার'। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বসে, রাষ্ট্রের টাকায় তিনি রেস্তোরাঁ থেকে দামি দামি খাবার আনিয়েছেন, আবার রাষ্ট্রের টাকায় প্রচুর টাকা মাইনে দিয়ে প্রাইভেট শেফ-ও রেখেছেন। এই জন্যই প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু।
আদালতে প্রসিকিউটর জানান ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৩-র মার্চ মাসের মধ্যে তিনি প্রায় ১ লক্ষ ডলারের খাবার অর্ডার করেছেন। জেরুসালেম শহরের সব নামি দামি রেস্তোরাঁ থেকে তাঁদের জন্য খাওয়ার আসত। ২০১১ সালের শুধু ডিসেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে খাওয়ার অর্ডার করা হয়েছিল প্রায় ৭ হাজার ডলারের।
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পার্টি এমনকী উইকএন্ডেও সারা নেতানিয়াহু প্রচুর মাইনে দিয়ে প্রাইভেট শেফ এবং ওয়েটার ভাড়া করতেন। শেফের পিছনে তিনি ১০ হাজার ডলার খরচা করেছেন। বেআইনিভাবে ভাড়া করা ওয়েটারদের, সরকারি আইনজীবির মতে তিনি 'এক্সট্রা ম্যানপাওয়ার' বা 'ক্লিনার্স' বলে নথিভুক্ত করতেন। তিনি দাবি করেন, কাজটা বাআইনি জেনেই এভাবে তাদের নথিভুক্ত করা হত।
ইসরাইলি আইনে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সরকারি রাধুনি থাকলে বাইরে থেকে অর্ডার দিয়ে খাওয়ার আনানো বা প্রাইভেট শেফ নিয়োগ করা বেআইনি। সরকারি আইনজীবির দাবি, যখন এইসব খরচা করা হয়েছে, সেসময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রাধুনি ছিল।
সারা নেতানিয়াহুর আইনজীবিরা অভিযোগগুলি 'মিথ্যে ও আষাঢ়ে' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের দাবি, সারা কোনও অপরাধ করেননি। ওইসব খাওয়ার দাওয়ার ও রাধুনি আনা হত প্রধানমন্ত্রীর অতিথিদের আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কর্মচারিদের জন্য, তাঁদের পরিবারের জন্য নয়।
এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে সারা নেতানিয়াহুর সর্বোচ্চ ৮ বছরের জেল হতে পারে। একের পর এক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে নেতানিয়াহুদের বিরুদ্ধে। এরপরও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর চেয়ার বাঁচানো কঠিন। তিনি অবশ্য নিজে গদি ছাড়বেন না বলেই জানিয়েছএন। কিন্তু তাঁর জোট-শরিক তাঁর পদত্যাগের দাবি জানালে সরে যাওয়া ছাড়া গতি থাকবে না তাঁর।