যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ‘সম্পর্ক’ স্বামীর, অবাধ প্রেমের পথে স্ত্রী বাধা হতেই যা ঘটল
বিয়ের পর থেকে দিব্যি চলছিল সংসার। হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসল এক যুবক। তাতেই ছন্দপতন। না, স্ত্রীর কোনও বন্ধু বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নয়। স্বামীর মনে ধরেছিল ওই যুবককে।
বিয়ের পর থেকে দিব্যি চলছিল সংসার। হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসল এক যুবক। তাতেই ছন্দপতন। না, স্ত্রীর কোনও বন্ধু বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নয়। স্বামীর মনে ধরেছিল ওই যুবককে। তারপর তিনি স্বপ্ন দেখছে শুরু করেছিলেন একসঙ্গে থাকার। সেই সম্পর্কের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্ত্রী, তাতেই সব শেষ।
মার্কিন মুলুকে খুন হল এক ভারতী তরুণী। ওই তরুণীর স্বামীকে দোষীসাব্যস্ত করে মার্কিন আদালত। এ বছরই বিয়ে করেন মিতেশ প্যাটেল ও জেসিকা। বেশ হাসিতে-খুশিতে কাটছিল দিল, সুখেই চলছিল সংসার। গত মে মাসে হঠাৎ জেসিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। ফার্মাসিস্ট জেসিকার দেহে মেলে একাধিক ক্ষতচিহ্ন।
তাঁর স্বামী মিশেল জানায়, বাড়ি ফিরে তিনি দেখতে পান স্ত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে জেসিকা মৃত্যু রহস্যের। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ২০১১ সালে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অমিত নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় মিতেশের। ক্রমেই সম্পর্ক গভীর হতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন:এক পুত্রের 'খোলা চিঠি' বাবাকে! 'স্বর্গ' থেকে ১০ দিনে এল 'জবাব', নিমেষে ভাইরাল ]
অমিত এবার একসঙ্গে থাকার জন্য চাপ দিতে শুরু করে মিতেশকে। মিতেশ বিবাহিত, সমস্যার শুরু হয়। বাধা হয়ে দাঁড়ায় জেসিকা। তারপরই পথের কাঁটা সরাতে জেসিকাকেক খুনের সিদ্ধান্ত নেয় মিতেশ। স্ত্রীকে খুনের কথা জানায় অমিতকেোষ অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিম ইঞ্জিকশন প্রয়োগ করে খুন করা হয় জেসিকাকে।
[আরও পড়ুন:বাবাকে খুন করে মেয়ের উপর রাতভর যৌন নিপীড়ন, তারপরের ঘটনা আরও মর্মান্তিক]
এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্লাস্টিক ব্যাগ মুখে জড়িয়ে শ্বাসরোধ করা হয় জেসিকার। তারপরই মিতেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মিতেশ প্যাটেলকে।