নিজের থানায় কেন ডায়েরি করলেন পটুয়াখালীর থানার ওসি?
বাংলাদেশের পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইনি সহায়তা চেয়ে নিজের থানাতেই সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কেন জিডি করতে হলো তাকে?
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আইনি প্রতিকার চেয়ে নিজের থানাতেই সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কেন তাকে জিডি করতে হলো?
এ প্রশ্নের জবাবে, মিঃ ইসলাম বলছেন, সম্প্রতি তিনি বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে যোগদান করেছেন।
কিন্তু আগে থেকে চলা চাঁদাবাজির একটি মামলায় গত সপ্তাহে চার্জশীট দেয়া হয়েছে।
এরপর থেকেই জামিনে থাকা অভিযুক্ত আসামিরা তাকে ফোনে হুমকি দিতে থাকে।
"তারা সরাসরি আমাকে বদলি করে দেয়া হবে এমন হুমকি দেয়। সেই সাথে তারা মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করবে—এমন আরো অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলে।"
আরো পড়ুন:উন্নয়নশীল দেশ হওয়া কেন উদযাপন করছে সরকার?
ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখবেন কীভাবে
নাম পরিবর্তনে ইসির কড়াকড়ি: হিন্দুদের আপত্তি
"তখন আমি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবার জন্য সাধারণ ডায়েরি করি। আর ঘটনাটা তো আমার নিজের কর্মক্ষেত্রের মধ্যেই হয়েছে, সেজন্য নিজের থানাতেই জিডি করেছি।"
কোন নাগরিক সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে সেটি করতে হয় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর। এরপর অভিযোগ তদন্তে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজন উপ-পরিদর্শক বা পরিদর্শককে দায়িত্ব দেন ঘটনা খতিয়ে দেখতে।
সাধারণ ডায়েরি করার ফর্ম দেখতে পারেন এখানে
এক্ষেত্রে মিঃ ইসলামকে নিজের বরাবরেই জিডি করতে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে।
তবে তদন্তের বিস্তারিত জানাতে চাননি তিনি।
বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ পুলিশকে বেশ ক্ষমতাশালী মনে করে সমীহ করে।
এজন্য অনেক সময় পুলিশের মাধ্যমে হয়রানির স্বীকার হলেও সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করে না।
সেই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা ধরণের অভিযোগ।
বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া এক হিসাবে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রায় ৩০ হাজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ জমা পড়েছিল।
এমন প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিকভাবেই, আইনি প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাধারণ ডায়েরি করার কথা তেমন শোনা যায় না।
কিন্তু মিঃ ইসলাম বলছেন, যেকোনো সাধারণ নাগরিকের মতই পুলিশও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য চেয়ে ডায়েরি করতে পারে।