ব্রাজিলে করোনা ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর হার কেন সর্বাধিক? সমীক্ষায় উঠে এল ভয়ঙ্কর সত্য
ব্রাজিলে করোনা ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর হার কেন বেশি? সমীক্ষায় আশঙ্কিত বিশ্ব
বিশ্বের যে কয়টি দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ব্রাজিল। দেশে কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ ঠেকাতে একদিকে যেমন ব্যর্থ হচ্ছে ব্রাজিল সরকার, অন্যদিকে সেখানে অতিমারীর জেরে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় আশঙ্কিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রাজিলে কেন শিশুদের ওপর কোভিড ১৯-এর এত প্রভাব পড়ছে, সে সংক্রান্ত এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল।
ব্রাজিলে অতিমারীর বলি শিশুরা
সরকারি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ২০২০ থেকে এখনও পর্যন্ত ব্রাজিলে ১০ বছরের নিচে থাকা ২২০০ শিশু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। যা দেশের মোট মৃতের সংখ্যার (৪,৬৭০০) ০.৫ শতাংশ। গত এক বছরে ব্রাজিলে কোভিড ১৯-এ সংক্রামিত হয়ে ৫ বছরের নিচে থাকা ৯০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি সমীক্ষা। অন্যদিকে আমেরিকায় যেখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, সেখানে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ১১৩ বলে জানানো হয়েছে। ব্রাজিলে গর্ভবতী মহিলা ও সদ্যোজাত শিশুর করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার হারও বেশি।
কেন ব্রাজিলে এই অবস্থা
এক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রাজিলে মূলত করোনা ভাইরাসের পি. ওয়ান বা গামা ভ্যারিয়েন্টের দাপট বেশি। যা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেক বেশি হারে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি অনেক বেশি প্রাণঘাতী। তাতেই ব্রাজিলে শিশু মৃত্যুর হার বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে।করোনা ভাইরাসের পি. ওয়ান ভ্যারিয়েন্ট সব বয়সের মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে সক্ষম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গর্ভে থাকা অবস্থাতেই মায়ের থেকে শিশুরা কোভিড ১৯-এ সংক্রামিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ব ছড়িয়ে পড়তে পারে গামা ভ্যারিয়েন্ট
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯-এর বি.ওয়ান.ওয়ান.সেভেন বা বিটা ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে বেশি ছাপ ফেলেছেন। আমেরিকায় গামা ভ্যারিয়েন্টেরও উপস্থিতি ধীরে ধীরে প্রকট হওয়ায় বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুর হার বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা।
প্রশাসন সক্রিয় হলে ঠেকানো যেত
ব্রাজিল প্রশাসন আগে থেকে আরও খানিকটা সক্রিয় হলে সেদেশে করোনা ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সম্ভাবনা এখনও রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।