'ইসরো'-র স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে কেন আতঙ্কিত পাকিস্তান, নেপথ্যে কোন কারণ
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো-র সাফল্য ছোঁয়া পাকিস্তানের মহাকাশবিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে এক স্বপ্ন!
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো-র সাফল্য ছোঁয়া পাকিস্তানের মহাকাশবিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে এক স্বপ্ন! যেভাবে আজ ভারতরে গর্বের ১০০ তম স্যাটালাইটের ঐতিহাসিক লঞ্চ করেছে ইসরো , তাতে এবার আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে ইসলামাবাদে। আর সেই নিয়ে ভারতকে খানিকটা সতর্কবার্তা দিয়েই সরব হল পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন:শততম উৎক্ষেপণ! মহাকাশ গবেষণায় আর এক ইতিহাস ইসরোর]
ইসরো-র সতীশ ধওয়ান সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা স্যাটালাইট প্রসঙ্গে,আতঙ্কিত ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জাল দিল্লিকে সতর্ক করে বলেছেন, সেনার কাজে ব্যবহৃত স্যটালাইট এশিয়ার দেশগুলির শান্তির ভারসাম্যকে নষ্ট করতে পারে। এর দ্বারা এই এলাকার দেশগুলির শক্তিকেন্দ্রিক বাতাবরণও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফয়জাল বলেছেন, যে সমস্ত মাহাকাশ গবেষণাধর্মী প্রযুক্তি, নাগরিক পরিষেবা ও সেনার জন্য দু'ভাবেই ব্যবহৃত হতে পারে , সেই রকমের প্রযুক্তি যাতে সেনার শক্তিকে উস্কানি না দেয় সেটাই এই এলাকার পক্ষে ভালো। উল্লেখ্য, ইসরোর একের পর এক সাফল্য রীতিমত তাক লাগিয়েছে ইসলামাবাদকে। এর আগেও ইসরো-র একের পর এক স্যাটালাইট উৎক্ষেপণের হাত ধরে ভারত যখন মহাকাশ গবেষণায় এগিয়ে সাফল্যের আকাশ ছুঁয়েছে, তখনও ত্রস্ত পাকিস্তানের তরফে সতর্কতাবাণী উড়েছে এসেছে। তবে তা ফুৎকারে উড়িয়েছে ভারত।
১৯ ৬১ সালে পাকিস্তানে স্পেস ও আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন গঠন করা হলেও, তা সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি। এই কমিশনের ৮ বছর পর ইসরো প্রতিষ্ঠি ত হয়েছে ভারতে। আর তা ক্রমেই এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের দিকে। এমনকি ইসরো-র তুলনা কখনও কখনও মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চাকেন্দ্র নাসা-র সাথেও করা হয়। বার বার ভারতের থেকে পিছিয়ে থাকার জন্যই ইসরো-র স্যটালাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে এত বিচলিত পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে ৯টা ২৮ মিনিট নাগাদ নিজেদের শততম কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সঙ্গে একবারেই আরও ৩০টি উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি-র মাধ্যমে উপগ্রহগুলি মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।