অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ চলতে থাকুক, ইউরোপের একাধিক দেশের কাছে আর্জি হু–এর
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ চলতে থাকুক
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই জমাট বেঁধে যাচ্ছিল রক্ত। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নরওয়ে সহ অধিকাংশ ইউরোপের দেশগুলি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ব্যবহারের ওপর তাই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রিটেন ও ইউরোপের ১.৭ কোটি মানুষের টিকাকরণের মধ্যে এ ধরনের ৩৭টি ঘটনা সামনে এসেছে। যদিও হু এবং ইউরোপিয়ান ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ভ্যাকসিনের তদন্ত চলাকালীন তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু এই পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে এই দেশগুলি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
কি বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, 'এই পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে এবং টিকার উপকারিতার তুলনায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি এখনও অনেক কম। তাই টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। ভ্যাকসিনের জন্য রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে।' অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে যদিও বারংবার একই ধরনের বিবৃতি আসছে। রবিবারও তারা রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে ভ্যাকসিনের যোগ রয়েছে তা মানতে নারাজ। বিবৃতিতে তারা বলেছে, 'সব ধরনের সুরক্ষার তথ্য নিয়ে খুবই সচেতনতার সঙ্গে এটির পর্যালোচনা করার পরই তা ইউরোপ ও ব্রিটেনের ১.৭ কোটি মানুষকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এই ভ্যাকসিনের জন্য রক্ত জমাট বাঁধছে এরকম কোনও প্রমাণ নেই।'
রক্ত জমাট ও ভ্যাকসিন যোগ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন যে রক্ত জমাটের ঘটনা খুবই সাধারণ এবং ভ্যাকসিনের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এক সাক্ষাতকারে ইতালির ওষুধ নিয়ামক সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং এই ভ্যাকসিন বাতিল করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রাজনীতির অংশ। জানুয়ারিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন বিলম্বের কারণে সংস্থার সঙ্গে ইউরোপের প্রকাশ্যে ও তীব্র লড়াই হয় এবং সংস্থার পক্ষ থেকে এক কোটি ভ্যাকসিন ডোজের পরই ইউরোপ সম্মতি দেয়। প্রসঙ্গত, ইতালিও ভ্যাকসিন ডোজের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়াও সেই পথেই চলেছে।
কানাডায় চলছে টিকাকরণ
তবে ভ্যাকসিন নিয়ে এতকিছু বিতর্কের মাঝেও কানাডা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ডোজ চালিয়ে যাচ্ছে, শুধু তাই নয় এর ব্যবহার আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, 'কানাডার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানিরা প্রত্যেক ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর কিনা তা খতিয়ে দেখতে তাঁদের অবিচ্ছিন্ন সময় ব্যয় করেছে, তাই আপনার গ্রহণের জন্য আপনাকে সেরা ভ্যাকসিন ডোজের প্রস্তাবই দেওয়া হবে।' অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য ৭০টিরও বেশি দেশ অনুমোদন দিয়েছে।
কি বলছে ভারত
ভারতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। তবে ইউরোপ ও ব্রিটেনে রক্ত জমাটের ঘটনা সামনে আসার পর ভারত এই ভ্যাকসিন নিয়ে পুর্নবিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে টিকাকরণের পর ০.০২০ শতাংশ প্রতিকূল ঘটনা ঘটেছে এবং ০.০০০২৫ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সরকার জানিয়েছে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোনও মৃত্যু ভারতে হয়নি।
প্রকাশ
করা
হোক
এক্সরে
রিপোর্ট,
ধাপে
ধাপে
'নাটক'
মমতার,
বিস্ফোরক
অধীর