এখনও খোঁজ চলছে 'উৎসের', করোনা ছড়াল কীভাবে? চিনে তদন্ত চালিয়ে কী জানাল হু
বিশ্বের বহু দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ। আজ ভআরতেও শুরু হয়েছে বিশ্বের সব থেকে বড় ভ্যাকসিনেশন অভিযোগ। তবে এখনও জানা গেল না করোনা ভাইরাসের উৎস। এই উৎস খুঁজতেই চিনে পৌঁছেছে হু-এর বিশেষ দল। তবে প্রথম কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি কে, তা হয়ত আর কোনওদিন জানা যাবে না।

চিনকে দায়ী করেছে অনেক দেশই
২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে চিনের উহানে প্রথম ছড়িয়েছিল কোভিড সংক্রমণ। বিশ্বজুড়ে এই সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য চিনকে দায়ী করেছে অনেক দেশই। যদিও হু সেরকম কোনও অভিযোগ করেনি। তবে কীভাবে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেই বিষয়ে গবেষণার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দলকে প্রথমে চিনে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এই গবেষণা। এই প্রসঙ্গে দলের প্রধান ভ্যান কারকোভ জানিয়েছেন, 'প্রথম কে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তার খোঁজ হয়তো আমরা কোনও দিনও পাব না।'

বিশ্বের অনেক দেশ টিকাকরণ শুরু করেছে
এদিকে এই মুহূর্তে বিশ্বের অনেক দেশ টিকাকরণ শুরু করেছে। হু-এর বক্তব্য, সেই টিকা যেন সব দেশ পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। ইতিমধ্যেই ৪৬টি দেশ টিকাকরণ শুরু করেছে। তার মধ্যে ৩৮টি উন্নত দেশ। এই প্রসঙ্গে এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, আমি দেখতে চাই ১০০ দিনের মধ্যে সব দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের আগে সুরক্ষা দিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটির বৈঠক
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটির বৈঠক ছিল এদিন। সেখানেই আলোচনার পরে হু-এর কমিটি জানিয়ে দিল, এই মুহূর্তে কোনও দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য টিকাকরণের কোনও প্রমাণ দেখানোর দরকার নেই। কারণ এখনও পর্যন্ত টিকাকরণের সাফল্য কতটা তা জানা যায়নি।

করোনার টিকাকরণ শুরু দেশে৪
এদিকে আজ, শনিবার থেকে দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকাকরণ শুরু হল৷ কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত সরকার৷ কোভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক৷ এটা ভারতে তৈরি একমাত্র ভ্যাকসিন৷ আর কোভিশিল্ড তৈরি করেছে অক্সফোর্ড ও অস্ট্রোজেনকা৷ ভারতে এই ভ্যাকসিন তৈরির বরাত পেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷