মাঙ্কিপক্সে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে পুরুষদের, যৌন সঙ্গী সীমিত রাখার পরামর্শ হু'য়ের
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে মাঙ্কিপক্সে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে পুরুষরা। সংস্থা এও বলছে যে আপাতত যেন পুরুষরা যৌন সঙ্গী সীমিত রাখে। সেই পরামর্শই দিচ্ছেন তাঁরা। মাঙ্কিপক্স আফ্রিকার কিছু অংশে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে মানুষ ইঁদুর বা ছোট প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত ধরা পড়েছে।
এটি সাধারণত মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে পড়ে না। কিন্তু এই বছর ১৫ হাজারেরও বেশি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যে দেশগুলিতে এর আগে এই রোগটি দেখা যায়নি সেখানেই এই বছরে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে, বেশিরভাগ সংক্রমণ সমকামী পুরুষদের মধ্যে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এটি মূলত ত্বক থেকে ত্বকের যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তবে এটি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত লিনেনগুলির মাধ্যমেও সংক্রমণ হতে পারে।
আপাতত এটি একটি যৌন সংক্রামিত রোগের মতো একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে হচ্ছে। কর্মকর্তারা অন্যান্য ভাবে এর বিস্তারের জন্য পর্যবেক্ষণ করছেন, যা প্রাদুর্ভাবকে প্রসারিত করতে পারে। এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেওছে, যেখানে শুক্রবার কর্মকর্তারা বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত দুটি শিশু এবং কমপক্ষে আটজন মহিলার বিষয়ে আগে থেকেই সচেতন ছিলেন।
যখন মাঙ্কিপক্স আবির্ভূত হয়, তখন বিশ্বাস করার কারণ ছিল যে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যেহেতু ভাইরাসটি ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন যে তারা সংক্রামিত ব্যক্তিদের সাক্ষাত্কার করে এবং তারা কার সাথে ঘনিষ্ঠ ছিল জিজ্ঞাসা করে তারা নির্ভরযোগ্যভাবে এর বিস্তার সনাক্ত করতে পারে কিন্তু সেটা হয়নি।
এদিকে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরলে কমপক্ষে তিনজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত। দিল্লিতে আক্রান্ত আরও এক। বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্দেহজনক রোগীর সন্ধানও মিলেছে। সেই পরিস্থিতিতে মোদী সরকার মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে আমন্ত্রণ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই আইসিএমআর-এর অধীনস্ত পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি রোগীর নমুনা থেকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে আলাদা করতে পেরেছে। যে কারণে দেশের ভ্যাকসিন এবং রোগ নির্ণয়ের কিট তৈরির পথ প্রশস্ত হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে অভিজ্ঞ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক এবং ইন-ভিট্রো রোগ নির্ণয়ের কিট যেসব সংস্থা তৈরি করে, তাদের থেকে দরপত্র আহ্বান করেছে। সেইসব সংস্থার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ের কিট তৈরি করতে চায় সরকার। এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্টজমা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ অগাস্ট।
উজ্বলা যোজনায় মহিলাদের কোনও লাভ হয়নি, তথ্য ধরে মোদী সরকারকে একহাত নিলেন চিদম্বরম