এপ্রিলে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন গড়ে করোনা আক্রান্ত ৮০হাজারের বেশি মানুষ, জানাচ্ছে হু
এপ্রিলে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন গড়ে করোনা আক্রান্ত ৮০হাজারের বেশি মানুষ, জানাচ্ছে হু
এপ্রিল মাসে সারা বিশ্বে দিন প্রতি গড়ে প্রায় ৮০,০০০ জন করে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, বুধবার একটি রিপোর্ট মারফত জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। হু-এর মতে, ভারত-বাংলাদেশের মত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে যেমন আক্রান্তের ক্রমেই বাড়ছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে এই সংখ্যা কমছে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিতে।
করোনা ঠেকাতে হু-এর নির্দেশ
বুধবার হু-এর মহাসচিব টেডরস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস জেনেভা থেকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, বর্তমানে প্রত্যেক দেশকে করোনার নতুন উপসর্গ ও গোষ্ঠী সংক্রমণ, এই দুই বিষয়কে মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক সাহায্যের দ্বারা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ভিতকে শক্ত করতে হবে। তিনি আরও জানান, "হু-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও অবধি প্রায় ৩৫ লক্ষ আক্রান্ত ও ২,৫০,০০০ মৃত্যুর খবর মিলেছে। মনে রাখতে হবে, এঁরা প্রত্যেকেই কারোর না কারোর বাবা, মা, ভাই বা বোন।"
সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি বুঝতে দরকার টেস্ট
টেডরস বুধবার জানিয়েছেন, "পশ্চিম ইউরোপে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এলেও পাল্লা দিয়ে সংখ্যা বাড়ছে পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও আমেরিকায়। আবার অন্যদিকে রাশিয়া সংলগ্ন এলাকায় সংক্রমণ বাড়লেও দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রত্যহ আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। ভারত-বাংলাদেশে সংখ্যায় বৃদ্ধি চোখে পড়েছে। ফলত এখনই বলা শক্ত কোথায় কিভাবে ছড়াচ্ছে করোনা। তবে করোনা রুখতে দরকার অসংলগ্ন করোনা পরীক্ষা।"
লকডাউনের বিধি লঘু করলেও দরকার কড়া নজরদারি
হু-এর যুগ্ম অধিকর্তা মাইকেল রায়ানের মতে, যে দেশগুলি করোনা রুখতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তাদের সাহায্যার্থে অন্যান্য দেশগুলির এগিয়ে আসা উচিত। টেডরস জানিয়েছেন, "বর্তমান অবস্থায় বহু দেশ লকডাউনের বিধিনিষেধ লঘু করার কথা ভাবলেও আমরা প্রত্যেককে এই বিষয়ে সাবধান করে দিচ্ছি। লকডাউন উঠলে দরকার কড়া নজরদারি, নাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।" লকডাউন তুলে নেওয়ার বিষয়ে টেডরস হু-এর ছয়টি নিয়ম মাথায় রাখার কথা বলেছেন। নিয়মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কড়া নজরদারি চালাতে হবে, আক্রান্তের সংখ্যা কমতে হবে ও সংক্রমণকে রুখতে হবে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যাতে রোগীদের পরীক্ষা, আইসোলেশনে থাকার জায়গা ও সংস্পর্শে আসা নাগরিকদের চিহ্নিতকরণের সুব্যবস্থা থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই লকডাউন তোলা উচিত বলে মত হু-এর।
"চিকিৎসার চেয়ে সাবধানতা অবলম্বন অনেক কার্যকরী"
হু-এর হিসাব বলছে, বর্তমানে বছরে সারা বিশ্বে মোট ৭,৫০,০০০ কোটি টাকা চিকিৎসায় ব্যয় হয়। টেডরসের মতে, "করোনা আমাদের এটুকু অন্তত শিখিয়েছে যে চিকিৎসার থেকে পূর্বেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাবধানতা অনেক বেশি কার্যকরী ও কম ব্যয় সাপেক্ষ। আমরা এখন যতটা স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন, ততটা আগে হলে হয়তো করোনার এতটা বাড়বাড়ন্ত হত না।" তাঁর মতে, শুধু মহামারীই নয়, প্রত্যেক মারণ রোগের জন্যই আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর প্রয়োজন। অন্যদিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ লক্ষ মানুষ ও মারা গেছেন প্রায় ২,৬৩,৮৪০ জন।
চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল, পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠাতে সম্মতি ইয়েদুরাপ্পার