আগের দুটি মহামারী রুখেছে, এটাও পারবে! করোনা মোকাবিলায় ভারতের উপর অটুট বিশ্বাস WHO-এর
সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমেই লাগাম ছাড়াচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৬,৫৭৮। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আক্রমণাত্মক হওয়ার কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। এদিকে করোনা প্রতিরোধে ভারতের উদ্যোগের প্রশংসা করল হু।
গত চার দিনে এক লাখেরও বেশি করোনা আক্রান্ত
সোমবার জিনিভায় করোনা প্যানডেমিক সংক্রান্ত হু-র প্রধান বলেন, 'করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ থেকে ১ লাখে পৌঁছাতে ৬৭ দিন সময় লেগেছে। দ্বিতীয় এক লাখ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছে ১১ দিন। কিন্তু তৃতীয় এক লাখ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ দিন।'
আক্রামণাত্মক হওয়ার বার্তা হু-এর
এই পরিস্থিতিতে ফুটবল ম্যাচের উদাহরণ টেনে হু প্রধান বলেন, 'এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অবশ্যই আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়িতে থাকতে হবে। তবে শুধুমাত্র রক্ষাণাত্মক মনভাবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা সম্ভব নয় এর জন্য চাই আক্রমণাত্মক মনভাব।'
ভারতে অটুট বিশ্বাস হু-এর
এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে হু-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন, 'পৃথিবীর বুক থেকে পোলিও এবং স্মল পক্স মুছে দেওয়ার পিছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ভারত। ভারতের অনেক ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের মতো দেশগুলিই পারবে বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় এমন সংকটের। সময় এসেছে ভারতের মতো দেশগুলির আবার অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার।'
সামজিক দূরত্বে কমবে না করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ
এদিকে জনতা কার্ফু বা সামজিক দূরত্ব করে করোনা ভাইরাসের চেন সংক্রমণ রোধ করা যাবে না। এতে হয়তো সংক্রমণের সংখ্যা কমবে কিন্তু চেন সংক্রমণ একেবারেই বন্ধ হবে না এমনই দাবি করেছে হু-এর বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে আক্রান্ত ৫০০ ছাড়িয়েছে
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৯। মৃতের সংখ্যা ১০। করোনা ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বিভিন্ন রাজ্যে জারি করা হয়েছে লকডাউন এবং কার্ফু।