করোনাভাইরাসের নতুন নাম রাখল হু, ‘কোভিড–১৯’ নামেই পরিচিত হবে এই মারণ রোগ
করোনাভাইরাসের নতুন নাম রাখল হু, ‘কোভিড–১৯’ নামেই পরিচিত হবে এই মারণ রোগ
মারণ রোগ করোনাভাইরাসের নতুন নামকরণ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মঙ্গলবারই এই মারণ রোগের নাম রাখা হয় 'কোভিড–১৯’। ২০১৯ সালের শেষের দিকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিকে দেড় মাস ধরে চিনের নতুন করোনাভাইরাস হিসেবেই ডাকা হচ্ছিল।
কেন ‘কোভিড–১৯’
বুধবার হু-এর প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের এই নতুন নামকরণের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা এই রোগটির নাম খুঁজে পেয়েছি আর সেটা হল কোভিড-১৯।' কেন এই নাম সে বিষয়ে হু-এর প্রধান বিস্তারিতভাবে জানান যে ‘কো' নেওয়া হয়েছে করোনা থেকে, ‘ভি' নেওয়া হয়েছে ভাইরাস থেকে এবং ‘ডি' নেওয়া হয় ডিজিস থেকে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে চিনের করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ১৮ মাসের মধ্যেই এসে যাবে। ড. গেব্রেইয়েসাস নতুন ভাইরাসটির বিরুদ্ধে যতটা সম্ভব লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চিনের অবস্থা
এই নিয়ে চিনের মূল ভূখণ্ডে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ৪৪,৬৫৩টি এবং এ রোগে মারা গিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ১,১১৩ জন। এই রোগ রীতিমতো মহামারির আকার ধারণ করেছে এই দেশে। মৃত্যুর সংখ্যায় এটি ২০০২-০৩ সালের সার্স মহামারিকে ছাড়িয়ে গেছে। গত সোমবার শুধু হুবেই প্রদেশে মারা গেছে ১০৩ জন, যা চীনে এক দিনে এত মানুষের মৃত্যুর সংখ্যার নতুন রেকর্ড। রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি তদারক করতে বেইজিংয়ের একটি হাসপাতাল ঘুরে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
হু–এর পদক্ষেপ
চিনের করোনাভাইরাস-প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে হু-এর প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছে। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘যারা কখনও চীন সফর করেননি, তাদের নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা হিমশৈলের চূড়া হতে পারে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এই হিমশৈলের আকার এবং আকৃতি নিরূপণ করা।
ভারত সহ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়েছে এই রোগ
ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই রোগ ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই জাপানে এই রোগ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। বেশ কিছু দেশ থেকে এই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। ভারতের কেরলে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।