চিনে করোনার উৎপত্তি নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখল হু, বেজিংয়ের নিশানায় ভারত! তীব্র চাঞ্চল্য বিশেষজ্ঞ মহলে
চিনের উহান থেকেই যে করোনার উৎপত্তি, সে বিষয়ে এর আগেই একমত হয়েছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় গবেষকরা। যদিও সম্প্রতি চিনের দাবি ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। রাশিয়া ও ভারত থেকে আমদানিকৃত মাছের মোড়কের সাথে দেশে করোনা ভাইরাস প্রবেশে বলে দাবি করেছে চিন। যদিও ভারতকে অধিক দোষারোপ করছে বেজিং। চিনের জাতীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস আবার এই দাবির সমর্থনে খাড়া করছে একাধিক নতুন নতুন তথ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্যে অন্য সুর
সাম্প্রতিক 'চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস' কর্তৃক প্রকাশিত গবেষণাপত্রের দাবি অনুযায়ী, ২০১৯-এর গ্রীষ্মকালে ভারতে করোনা ভাইরাসের জন্ম হলেও তা ধরা পড়ে চিনের উহানে। চিনের এমন দাবির মাঝেই শুক্রবার আসরে নামে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার হু-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিক মাইক রিহান জেনেভা থেকে জানান, চিন থেকে যে করোনা ছড়ায়নি, সেটা এখনই বলা 'ঠিক' হবে না। তবে করোনা ছড়ানোর জন্য চিন যে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে সেই বিষয়েও বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। আর এখানেই বাড়চে জল্পনা।

উহানের বাজারে তদন্তের আসছে হু-র বিশেষ দল
সারাবিশ্ব যখন করোনা সংক্রমণের জন্য কালপ্রিট হিসেবে দায়ী করছে চিনকে, তখনই করোনা ছড়ানোর জন্য চিন দায়ী করতে শুরু করেছে ভারত ,গ্রিস ও রাশিয়াকে! এর আগেও চিনের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়নি হু, ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে 'চিনঘেঁষা' বলে দাগিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প। অন্যদিকে হু-এর তরফে মাইক রায়ান শুক্রবার বলেছেন, উহানের বাজারে তদন্তের জন্য বিশেষ দল পাঠানো হবে। হু-এর এই হঠাৎ মতবদলকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।

চিনা বিজ্ঞানীদের দাবি বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না ভারত
চিনা গবেষকদের বক্তব্য, ২০১৯ সালে যখন ভারত ও পাকিস্তানে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল, তখনই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি। সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় ও হাউস্টনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথভাবে জানিয়েছেন, "তাপপ্রবাহের সময়কালে হনুমানের মত বন্যজন্তুরা মানুষের সংস্পর্শে আসে এবং ক্রমে পশুজগৎ থেকে মানবশরীরে সংক্রামিত হয় করোনা।" যদিও চৈনিক বিজ্ঞানীদের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় গবেষকরা।

নিজেদের দাবিতে অনড় চিন
সম্প্রতি চিন সরকার সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি রেখেছে যে, রাশিয়া, গ্রিস ও ভারত থেকে চিনে আমদানি করা মাছের মোড়ক মারফত প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ চিনে ছড়ায় করোনা ভাইরাস। পড়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সম্প্রতি এই দাবির সমর্থনেই চৈনিক গবেষকরা জানিয়েছেন, "আমাদের গবেষণাতেই প্রমাণ, উহানের মত স্থানে পশু থেকে মানবদেহে করোনা ছড়ানো সম্ভব নয়।" তাঁদের বক্তব্য, বাংলাদেশ, ভারত, ইতালি, আমেরিকা, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়া থেকে ছড়াতে পারে করোনা। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতকে আদপে শূলে চড়াতে চাইছে চিন।

লোকালের পর এবার ডিসেম্বর থেকেই বাংলায় ছুটবে প্যাসেঞ্জার ট্রেন, নয়া সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের