বাংলাদেশে প্রকাশক দীপন হত্যার দায় কার, জানা গেলো না দু'বছরেও
বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলায় প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। কিন্তু এ হত্যার সাথে কারা জড়িত এবং তারা কি কারণে এই প্রকাশককে টার্গেট করেছিলো তার কিছুই নিশ্চিত করে জানা যায়নি
বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলায় প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ।
২০১৫ সালে ৩১ শে অক্টোবর অজ্ঞাতনামা হামলাকারীরা ঢাকার শাহবাগ এলাকায় তার কর্মস্থলে তাকে হত্যা করে।
পরে আনসার আর ইসলাম বাংলাদেশ নামে কট্টর ইসলামপন্থী একটি সংগঠন ঐ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।
সন্ত্রাসী হামলায় নিহত লেখক-ব্লগার অভিজিত রায়ের একটি বই প্রকাশের জন্য জঙ্গিরা মি দীপনকে টার্গেট করেছিল বলে, ধারনা করা হয়।
হত্যার দু'বছর পার হলেও সেই মামলার এখনও কোনো কুল কিনারা হয়নি।
ফয়সল আরেফিন দীপনের বাবা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হক বিবিসিকে বলছেন প্রথম থেকে ডিবির একজন কর্মকর্তা তাদের এ মামলার তদন্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
"দেড় বছর আগে ফাইল পত্র নিয়ে এসে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে তারা কিভাবে এগুচ্ছেন"।
তারা বলেছিলেন যে অন্য মামলার সূত্র ধরে তারা সন্ধান পেয়েছেন যে কারা দীপনকে হত্যা করেছে কিন্তু তারা যে নামগুলো পেয়েছেন সেগুলো ছদ্মনাম।
এখন দেড় বছর পরেও একই কথা বলছেন, তদন্ত আর এগোয়নি।
কোর্টে চার্জশীট দেয়া হয়নি এখনো, কাজেই মামলার কাজও আরম্ভ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন মিস্টার হক।
তিনি বলেন, "হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর সরকার খুব সক্রিয় ছিলো এরপর অন্যগুলোর বিষয়ে তো সরকারের উদ্যোগ তেমন দেখিনা। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ করে অভিজিৎ, রাজীব কিংবা দীপনের বা এ ধরনের হত্যার বিষয়ে কোন অগ্রগতি তো পাওয়া যাচ্ছেনা"।
দীপনের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কেমন চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্তটি হয়েছে কিন্তু দীপনের স্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করছেন সেটিকে এগিয়ে নিতে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন দীপন হত্যা মামলায় আটক তিনজন কারাগারে আছেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মামলার অভিযোগ পত্র তৈরির জন্য কাজ করছেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
একই দিন কাছাকাছি সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।
এই দুই মামলারই তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন প্রকাশক দীপন হত্যায় অন্যতম 'মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেফতার: পুলিশ