চাপের মুখে জিনপিং সরকার! চিনের বিরুদ্ধে ‘করোনা তদন্ত’ শুরুর পথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
চিনের নমুনা যাচাই করবে হু, করোনাকে নিয়ে জোরদার গবেষণার ইঙ্গিত
ইতিমধ্যেই ভারত থেকে প্রথম করোনা প্রাদুর্ভাবের দাবি তুলে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে চিন। এমনকী ভারতের সামুদ্রিক মাছ থেকে চিনে করোনা আগমণের যে তত্ত্ব চিনা বৈজ্ঞানিকরা খাড়া করেছিলেন তাও 'দ্য ল্যান্সেট' মেডিক্যাল জার্নাল থেকে তুলে নিয়েছে চিন। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা-কল্পনা। এমতাবস্থায় এবার করোনার শিকড় খুঁজে বার করার লক্ষ্যে আসরে নামল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু।
ভাইরাসবিদদের নিয়ে তৈরি বিশেষজ্ঞ দল
সূত্রের খবর, এই কাজের জন্য সম্প্রতি ভাইরাসবিদদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিমও তৈর করে ফেলেছে হু। যার মধ্যে রয়েছেন দেশ-বিদেশের একাধিক খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা। তাঁরাই বর্তমানে চিনে করোনার উৎস খুঁজতে নমুণা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রারম্ভ নিয়ে শুরু থেকেই সম্মুখসমরে নেমেছে চিন-আমেরিকা।
জোরদার বিতর্ক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে
আমেরিকার দাবি, চিনের উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই প্রথম করোনার উৎপত্তি হয়। এমনকী এই বিষয়ে চিনের বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপও দাগতে দেখা যায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এমনকী বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিজ্ঞানীদেরও মোটামুটি এটাই দাবি। যদিও বিশ্বব্যাপী বিতর্কের মাঝে পড়েও এসবে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ বেজিং। উল্টে তাদের দাবি, ভারত, রাশিয়া, বাংলাদেশ, গ্রীস থেকে আগত খাদ্যদ্রব্য থেকেই প্রথম মাথাচাড়া দেয় করোনা। যদিও এই যুক্তির সপক্ষে বিশেষ প্রমাণ খাড়া করতে পারেনি চিন।
চাপ বাড়ছে জিনপিং প্রশাসনের উপর
অন্যদিকে ২০২০-র শুরুতে করোনা উৎস নিয়ে একাধিক দেশ যখন চিনের দিকে আঙুল তুলছিল তখন জল মাপতেই ব্যস্ত ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এর জন্য সরাসরি বেজিংকে দোষারোপ করতে দেখা যায়নি হু-র আধিকারিকদের। এমতাবস্থায় এবার খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই চিনের বিরুদ্ধে ‘করোনা তদন্ত' শুরু করলে জিনপিং সরকারের উপর চাপ যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
সরাসরি চিনের দিকে আঙুল তুলতে নারাজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এদিকে চিনা করোনা নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে চাপনৌতর জারি থাকলেও পিঠ বাঁচিয়েই চলতে চাইছে বহু। হু-র বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য তথা জার্মানি রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের জীববিজ্ঞানী ফ্যাবিয়ান লেইন্টারটজ এই প্রসঙ্গে বলেন, " বিতর্ক বাড়াতে বা বিতর্ক দমাতে নয়, বরং আগামীতে এই ধরণের মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আমাদের কতটা প্রস্তুত থাকতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালাতেই এই অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়েছে।" শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, " আমরা কাউকে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করতে চাইছি না, শুধু ভবিষ্যতের ভাইরাস সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতেই এই গবেষণা শুরু করা হয়েছে।"
১ কোটির দোরগোড়ায় করোনা কেসের সংখ্যা! দেশে একদিনে মৃত্যু ৩৮৭ জনের