মোদীর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার পর হোয়াইট হাউস 'সাফাই' দিয়ে কী জানাল! টুইটার বিতর্ক তুঙ্গে
মোদীর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার পর হোয়াইট হাউস 'সাফাই' দিয়ে কী জানাল! টুইটার বিতর্ক তুঙ্গে
ভারতের প্রধানমন্ত্রীই শুধু নন, ভারতের রাষ্ট্রপতির টুইটার হ্যান্ডেলও 'আনফলো' করেছে মার্কিন প্রশাসনের কেন্দ্রস্থল হোয়াইট হাউস। টুইটারে এই ঘটনার পর থেকে দুই দেশের পারস্পরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ও বিতর্কের পারদ উঁচুর দিকে চড়তে থাকে। অমন অবস্থায় 'হোয়াইট হাউস ' দিল সাফাই।
কাদের হোয়াইট হাউস 'ফলো' করে?
মার্কিন ক্ষমতার অলিন্দে থাকা হোয়াইট হাউসের টুইটার হ্যান্ডেল সাধারণত মার্কিন সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টগুলিকে ফলো করে। এছাড়া 'উপযুক্ত' কাউকেই ফলো করে এই টুইটার হ্যান্ডেল। এমন বার্তা জানিয়েছে খোদ ট্রাম্পের প্রশাসন।
মোদীকে কেন 'আনফলো' করা হল?
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে টুইটারে 'ফলো' করার পর এবার মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট 'আনফলো' করা হয়। এসম্পর্কে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা উচ্চপদস্থ কেউ কোনও দেশে সফর করলে, সেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের টুইটার হ্যান্ডেল 'ফলো' করে হোয়াইট হাউস। পরবর্তীকালে তা করা হয় না।
ট্রাম্পের সফর ও মার্কিনি নিয়ম
হোয়াইট হাউসের নিয়মবশত গত ফেব্রুয়ারি মাসে যেহেতু ট্রাম্প ভারত সফরে আসেন তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতির টুইটার হ্যান্ডেল 'ফলো' করা হয়। সফর শেষ হয়ে আজ বহুদিন পেরিয়েছে। আর ফেব্রুয়ারির পর এপ্রিল মাসে এসে হোয়াইট হাউস তাদের নিয়মে মোদীর টুইটার হ্যান্ডেল আনফলো করেছে।
কংগ্রেসের চাপ
মোদীকে আনফলো করার এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, বিষয়টি নিয়ে বিদেশমন্ত্রক জোরদার সওয়াল করুক। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির টুইটার হ্যান্ডেল নিয়ে এমন কাণ্ড বরদাস্ত করার বিষয় নয়, বলে জানান রাহুল।