কান্দাহার কাণ্ডের ২০ বছর : যে দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের ছাড়াতে বিমান অপহরণ, তারা এখন কোথায়
কান্দাহার কাণ্ডের ২০ বছর : যে জঙ্গিদের ছাড়াতে বিমান অপহরণ, তারা এখন কোথায়
২০ বছর আগে আজকের দিনেই দিল্লি থেকে নেপালের কাঠমাণ্ডুগামী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি-৮১৪ উড়ানটিক হাইজ্যাক করেছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। এই অপহরণ করার মূল লক্ষ্যই ছিল ভারত সরকারের উপর চাপ তৈরি করে বন্দি থাকা মাসুদ আজহার, ওমর সেখ, মুশতাখ আহমেদ জারগারকে ছাড়ানো।
২০ বছর আগের সেই অপহণ
এই অপহরণ ও পরবর্তীতে জঙ্গিদের হস্তান্তর মিলিয়ে মোট এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই নিয়ে টালমাটাল ছিল পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত উড়ানে থাকে ১৭০ জন যাত্রীকে বাঁচাতে জঙ্গিদের দাবি মতো তিন বন্দিকেই ছেড়ে দিয়েছিল ভারত সরকার। এর মাঝে বিমানটি কান্দাহারে নামার আগে অমৃতসর ও লাহোরে থেমেছিল তেল নেওয়ার জন্য। এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সিবিআই মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্ডশিট দাকি করে। এদের মধ্যে ৭ জনই পাকিস্তানে রয়েছে এই মুহূর্তে। অপহরণে সরাসরি যুকিত পাঁচজনও পাকিস্তানে রয়েছে।
মাসুদ আজহার
মুক্তি পেয়ে তার জঙ্গি সংগঠন জইশে মহম্মদকে আবার সক্রিয় করে তোলে মাসুদ। এরপর ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদ, ২০০৮ সালে মুম্বই হামলা, পাঠানকোটে হামলা চালায় সে। চলতি বছরে পুলওয়ামা হামলার পিছনেও মাসুদেরই হাত রয়েছে। এর আগে ১৯৯৪ সালে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মাসুদ আজহারকে। বর্তমানে পাকিস্তানের সেনার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে আজহার।
ওমর শেখ
২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের শিরোচ্ছেদ করার জন্য বেশি পরিচিত ওমর। সেই সময় পার্ল আল-কায়দার অর্থনৈতিক উৎস নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে জালে ফাঁসিয়ে বন্দি বানায় ওমর। পার্লকে বন্দি বানিয়ে মার্কিন সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চেয়েছিল ওমর। তার দাবি ছিল পাকিস্তানকে যেই এফ-১৬ দেওয়ার কথা আমেরিকার তার ডেলিভারি যাতে শীঘ্র করা হয়। ওমরকে উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। বর্তমানে ওমর লাহোরের এক কারাগারে রয়েছএ। পার্লের মৃত্যুর দায়ে সে এখন জেলে রয়েছে।
মুশতাক আহমেদ জারগার
জম্মু ও কাশঅমীর লিবেরেশন ফ্রন্টের এই জঙ্গিকে ভারত ১৯৯২ সালে গ্রেফতার করেছিল। ১৯৯৯ সালে তার মুক্তির পর নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্ফারাবাদে তার জঙ্গি কার্যকলাপ জারি রেখেছে জারগার। ২০১৯ সালে অনন্তনাগে সেনাদের উপর এক হামলার পিছনে হাত ছিল তার। সম্প্রতি এক ভিডিও মেসেজে সে দাবি করে যে পূর্ব জম্মুর দোদা নামক এক জায়গায় রয়েছে সে।