এশিয়াতে কবে মিলবে বহু প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন, উত্তরের খোঁজে কোভিড গবেষকরা
এশিয়াতে কবে মিলবে বহু প্রতিক্ষীত করোনা ভ্যাকসিন, উত্তরের খোঁজে কোভিড গবেষকরা
ইতিমধ্যেই গোটি বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০০টির কাছাকাছি করোনা টিকা গবেষণাধীন। তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালও শেষের পথে প্রায় ১১টি করোনা ভ্যাকসিনের। এমনকী করোনা প্রতিষেধক প্রস্তুতের দৌড়ে প্রায় প্রত্যেক উন্নয়নশীল দেশই এগিয়েছে সর্বশেষে ট্রায়ালের দিকে। এশিয়ার কোথায়, কখন, কোন পদ্ধতি করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে জানেন কী ?
আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন প্রয়োগে ছাড়পত্র চাইতে পারে সিরাম
এদিকে শেষ ট্রায়ালে প্রায় ৯৪.১% সফলতার হারের নিরিখে আমেরিকা ও ইউরোপে জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের ছাড়পত্রের অনুমতি চেয়েছে মার্কিন সংস্থা মডার্না। একইভাবে ফাইজার আইএনসি-বায়োএনটেক এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকাও তাদের সাফল্যের কথা জানিয়েছে বিশ্ববাসীর দরবারে। অর্ডার দিয়েছে এশিয়ার একাধিক দেশ। এদিকে আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে পুনের সিরাম ইন্সস্টিটিউটও ভ্যাকসিন প্রয়োগের ছাড়পত্র আদায়ের তোড়জোড় শুরু করবে বলে জানা যাচ্ছে।
ভ্যাকসিনের দৌড়ে কতদূর এগোল ভারত-চিন
রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-এর পাশাপাশি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও চলছে ভারতে। এসআইআই প্রধানের মতে, সরকারি ছাড়পত্র পেয়ে গেল জরুরি ভিত্তিতে উৎপাদন চালু করে ২০২১-এর মার্চের মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ সম্ভব হবে। অন্যদিকে, প্রতিবেশী চিনেও বেশ এগিয়ে রয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা। চিনা সূত্রের মতে, ফাইজার-বায়োএনটেক বা স্পুটনিক ভি-এর মত বিদেশি ভ্যাকসিনের আগে দেশীয় সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক প্রতিষেধককে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে জিনপিং সরকার।
কী অবস্থায় রয়েছে জাপান-বাংলাদেশে ?
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের এসআইআই-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, প্রায় ৩কোটি অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন কিনবে বাংলাদেশ। হু-এর নির্দেশে গাভি সংস্থাও সাহায্য করবে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে, ২০২১-এর প্রথম ভাগেই ফাইজার, বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও নোভাভ্যাক্স-এর থেকে কয়েক কোটি ভ্যাকসিন কিনতে চলেছে জাপান সরকার। পাশাপাশি দ্বীপরাষ্ট্রে প্রথম-দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের কথা চিন্তাভাবনা করছে জনসন এন্ড জনসন।
করোনা দূরীকরণে কী পদক্ষেপ করচে তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ?
হু-এর কোভ্যাক্স ব্যবস্থা থেকে ১কোটি এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে প্রায় ২কোটি ডোজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের। আগামী বছরের এপ্রিল থেকেই টিকাকরণ শুরু করে দিতে চাইছে সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাইওয়ানের মত ছোট্ট দেশও পিছিয়ে নেই ভ্যাকসিনের আসরে। কোভ্যাক্স ব্যবস্থা থেকে ১.৫ কোটি ও অন্যান্য প্রস্তুতকারকের থেকে আরও ১.৫ কোটি ভ্যাকসিন কিনে আগামী বছরের শুরুতেই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করে দিতে চাইছে তাইওয়ান সরকার।
মহামারীর ঠেকাতে কতটা তৈরি ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া?
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের থেকে ১.২৮ কোটি ভ্যাকসিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত পাকা করল মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, আগামী বছরের প্রথম দিকেই ১০ লক্ষ ভ্যাকসিন ফাইজার পৌঁছে দিলেই টিকাকরণের পথে এগোবে সরকার। যদিও এদিক থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছে ফিলিপাইন্স দ্বীপপুঞ্জ। এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রায়াল না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। যদিও অ্যাস্ট্রোজেনেকার থেকে ২৬ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনার কথা জানিয়েছে ফিলিপাইন্স সরকার।
কোভ্যাক্স থেকে উপকৃত ভিয়েতনাম-ইন্দোনেশিয়া
হু-এর কোভ্যাক্স ব্যবস্থার মাধ্যমে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় গণ টিকাকরণ সম্ভব হবে শীঘ্রই। পাশাপাশি চিনের সিনোভ্যাক সংস্থার সাথে আরও ভ্যাকসিন ক্রয়ের ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। যদিও প্রতিষেধকের ব্যাপারে বেশ পিছিয়েই রয়েছে ভিয়েতনাম। কোভ্যাক্স ছাড়াও অন্যান্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার সাথে আলোচনার পথে এগিয়েছে ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, সবদিক বিচার করেই কেনা হবে ভ্যাকসিন।
অন্নদাতারা রাস্তায় নেমেছেন, মোদী টিভিতে মিথ্যা বলছেন! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের তোপ রাহুলের