পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিলিটারি অ্যাকশন নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন মনমোহন-ও, দাবি ক্যামেরনের
বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন একটি বই প্রকাশ করেছেন। সেখানে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে তিনি একটি দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন একটি বই প্রকাশ করেছেন। সেখানে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে তিনি একটি দাবি করেছেন। যে দাবি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ক্যামেরনের দাবি, মুম্বইয়ের মতো আরও একটি জঙ্গি হামলা হলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিলিটারি অ্যাকশন নেওয়ার কথা তাঁকে বলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্তের কথা লেখা ক্যামেরনের এই বইয়ের নাম - ফর দ্য রেকর্ড। যেখানে বিশেষ করে ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যেকার অনেক ঘটনার কথা লেখা রয়েছে। এমনকী শুধু মনমোহন সিং নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথাও লিখেছেন ক্যামেরন।
ক্যামেরুন লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তিনি একজন সন্ত প্রকৃতির মানুষ। তবে ভারতকে যেভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাতে তিনি অত্যন্ত দৃঢ় মনোভাব নিতে চলেছিলেন। ২০১১ সালে যখন তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার মতো আর কোনও ঘটনা ঘটলেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিলিটারি অ্যাকশন নেবেন তিনি।
ক্যামেরন বলেছেন, ভারতের কথা এলেই আমি দু'দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করায় জোর দিয়েছিলাম। কারণ ঔপনিবেশিক শাসনের সেই ভাবনাকে সরিয়ে রেখে দুই দেশের এক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা ব্রিটেনের অত্যন্ত সফল ব্যবসায়িক নেতৃত্ব এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা ভারতীয়। যা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁর লেখায় ক্যামেরন ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদীর লন্ডন সফরের কথা বলেছেন। সেই লেখায় ঘুরে ফিরে এসেছে তাঁর ভারত ভ্রমণের কথা। দিল্লিতে টুকটুকে চেপে ঘোরা, মুম্বইয়ে বৃষ্টিতে বস্তির মধ্যে একটি প্রকল্পের কাজে হাত লাগানো। এইসবই ক্যামেরন নতুন বইয়ে উল্লেখ করেছেন।
বিশেষ করে উল্লিখিত রয়েছে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে তাঁর ভ্রমণের কথা। তিনি প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনুতাপ প্রকাশ করেন।
[ পাকিস্তান নিচে নামতে পারে, কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে মাথা উঁচু রাখবে ভারত! শক্তিশেল আকবরউদ্দিনের ]
প্রসঙ্গত, ডেভিড ক্যামেরন ২০১৬ সালের জুন মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ব্রিটেন যখনই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রেক্সিটে সমর্থন দেয়, তারপরই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। এবং বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন।