ডেঙ্গুর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কী যোগসূত্র রয়েছে? কী বলছে গবেষণা
ডেঙ্গুর সঙ্গে কি করোনা ভাইরাসের সম্পর্ক রয়েছে? ইজরায়েল এবং ভারতের দুটি আলাদা গবেষণা বলছে, ডেঙ্গু পরীক্ষা কখনো করোনা পজিটিভে বদলে যেতে পারে। এবং যার ফলে ভুল চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে বলেও গবেষকরা সাবধান করে দিচ্ছেন। ডেঙ্গু অনেক বেশি হয় এমন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে গবেষকদের তরফে। যার ফলে এই দুই ভাইরাসের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ সাদৃশ্য রয়েছে, তা নিয়ে আরও গভীর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
ইজরায়েলের গবেষণা
ইজরায়েলের গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে ক্লিনিক্যাল ইনফেকশাস ডিসিজ নামে একটি বিজ্ঞান পত্রিকায়। যেখানে ৫৫ জনকে পরীক্ষার পর একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। এই ব্যক্তিরা ডেঙ্গুর ফলে করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এসব ব্যক্তির দেহে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা দিয়েছে তাদের শরীরের যে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি মিলেছে ডেঙ্গু সংক্রমণের সময়, তার মাধ্যমেই করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিয়ে ধারণা করা সম্ভব হচ্ছে।
৫৫ জনকে পরীক্ষা
পরীক্ষা করা ৫৫ জন ব্যক্তির মধ্যে ১২ জনের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। যে ভাইরাসের ফলে ডেঙ্গু হচ্ছে এবং করোনা ভাইরাস - দুটোই আলাদা গোষ্ঠীর। দুটোর মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে কোন সাদৃশ্য নেই।
নমুনা সংগ্রহ অনেকের
এর পাশাপাশি ৯৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে রোগীদের থেকে। যারা সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালের আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভারতের কলকাতায় যে পরীক্ষা হয়েছে তা এখনও কোনও বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি।
কলকাতায় গবেষণা
কলকাতার গবেষণা সংস্থার বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী শুভজিৎ বিশ্বাস মনে করছেন, যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি সেই সব জায়গায় করোনা ভাইরাস বলে ভুল করার একটা ঝুঁকি অবশ্যই থেকে যাচ্ছে। ফলে নিখুঁত পরীক্ষার বিষয়ে জোর দিয়েছেন তিনি।
গভীর পরীক্ষা প্রয়োজন
সাধারণভাবে ২২ শতাংশ রেজাল্ট পজিটিভ আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সাধারণভাবে ৪ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ডেঙ্গুর ভাইরাসকে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। দেখা প্রয়োজন যে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কতটা প্রভাবিত করছে। যা করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে।
ভারত-ব্রাজিলে আতঙ্ক বেশি
গবেষকরা মনে করছেন এই দুটি ভাইরাসকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারলে গবেষণার বেশ কয়েকটি দিক খুলে যেতে পারে। বিশেষ করে ভারত এবং ব্রাজিলের মতো দেশে যেখানে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপ অত্যন্ত বেশি ইউরোপ অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়, সেখানে এবং করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এর সম্পর্ক বের করতে পারলে গবেষণার নতুন দিক খুলে যাবে।