২১ শে জুন সূর্যগ্রহণ: বলয়গ্রাস ও পূর্ণগ্রহণের পার্থক্য ঠিক কোথায়?
এক মাসে পর পর ৩ টি গ্রহণ । ২০২০ সালের হাত ধরেই নতুন দশকের শুরু। বছরের প্রথমেই এ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হানাহানি ,রক্তপাতের খবর উঠে আসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, এই বিশ্ব ছাড়িয়ে বহু ক্রোশ দূরে মহাকাশ নিজের কালের নিয়মে রচনা করে চলেছে নিত্যনূতন মহাজাগতিক নানার ঘটনা। বহু নক্ষত্র, বহু গ্রহ, নীহারিকা, গ্রহাণুর সমবেত অঙ্কে মহাকাশ লিখে চলেছে এই রক্তপাতের দুনিয়ার বাইরের নিজস্ব জগতের কাহিনি। আর সেই মহাকাশই ২০২০ সালে এই বিশ্বের মানুষকে দেখবার সুযোগ করে দিচ্ছে বেশ কয়েকটি তাক লাগানো ঘটনা। এ এমনই এক মহাজাগতিক ঘটনা ২১ জুন ঘটতে চলেছে। সেদিন রয়েছে বলয়গ্রাস । বলয়গ্রাস আর পূর্ণগ্রাসের মধ্যে পার্থক্য কী দেখে নেওয়া যাক।

বলয়গ্রাস আসলে কী?
চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় থাকলেই গ্রহণ ঘটে যায়। তবে অন্যান্য গ্রহণের থেকে বলয়গ্রাস আলাদা। চাঁদের কৌণিক ব্যাস সূর্যের চেয়ে ছোট হলে তাকে বলা হবে বলয় গ্রহণ। অমাবস্যার সময়ে সূর্যগ্রহণ হয় তবে সব অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ হয় না, কারণ চাঁদ ভূ-কক্ষের সাথে ৫ ডিগ্রি হেলে থাকে। আর কৌণিক দূরত্বের নিরিখেই বলয়গ্রাস ঘটে যায়।

রিং অফ ফায়ার
'রিং অফ ফায়ার' দিয়ে দশকের শেষ সূর্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সেরকমই মহাজাগতিক কাণ্ড ২০২০ সালেও দেখা যাবে। ২১ জুনের সূর্যগ্রহণ ২০২০ সালের অন্যতম তাক লাগানো মহাজাগতিক ঘটনা বলে বিবেচিত হতে পারে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর হতে চলেছে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ
সূর্য, চন্দ্র , পৃথিবী একই সরলরেখায় থাকলে সূর্যগ্রহণে চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণ রূপে ঢেকে ফেলতে পারে। তখনই ঘটে পূর্ণ সূর্য গ্রহণ। পূর্ণগ্রাসে সৌরমুকুট দেখা যায়। যা অত্যন্ত বিরল একটি মহাজগতিক দৃশ্য।


৩০ দিনে তিন গ্রহণ
৫ জুন শুক্রবার চন্দ্রগ্রহণ। এবার প্রতিচ্ছায়া গ্রহণ দেখা যাবে আকাশে। তা নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। পরিবেশ দিবসে এই গ্রহণ অন্যমাত্রা এনেছে। রাতের আকাশে মহাজাগতিক এই ঘটনার আগে সকলের চিন্তা, ৩০ দিনের মধ্যেই আরও দুটি গ্রহণ রয়েছে। কেন এই গ্রহণ প্রবণতা? তবে কি ফের কোনও বিপর্যয় আসতে চলেছে।