গালওয়ানে চিন সেনা কতটা এলাকা দখল করতে চেয়েছে, লালফৌজ হটতেই ছবি স্পষ্ট হল! নয়া রিপোর্টে চাঞ্চল্য
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, গালওয়ান সীমান্তে ভারতের ৮০০ মিটার এলাকা দখলের দিকে এগোতে যাচ্ছিল প্রতিবেশী চিন। এদিন দু'তরফের সেনা পিছু হটায় এই এলাকা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য সাফ হয়েছে বলে দাবি করেছে চ্যানেলের রিপোর্ট।
পিছু হটল চিনা সেনা
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই কিলোমিটার পিছনে সরে গেছে চিনের সেনাবাহিনী৷ ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পর তাঁবু, গাড়ি এবং বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে চিন। তবে গালওয়ান নদীর পার্শ্ববর্তী দুর্গম এলাকায় এখনও অস্ত্রবাহী গাড়ি মোতায়েন রেখেছে চিন। ভারতীয় সেনা সেদিকে নজর রেখেছে।
পেট্রোল পয়েন্ট ১৪
চিনের সেনা সরে যেতেই স্পষ্ট হয়েছে যে রক্তাক্ত পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ এ গালওয়ানের সরু একফালি এলাকা কীভাবে দখলে রাখার চেষ্টা করেছিল চিন। ভারতের পেট্রোল পয়েন্টের ৮০০ কিলোমিটার এলাকা চিন এতদিন দখলে রেখেছিল বলে দাবি করা হয়েছে ওই সর্বভারতীয় চ্যানেলের তরফে।
এপ্রিলেই ৮০০ মিটারের প্রসঙ্গ
দুই তরফের সেনা পর্যায়ের বৈঠকে আগেই এই ৮০০ মিটার এলাকার প্রসঙ্গ উঠেছে। সেই বৈঠক এপ্রিল মাসে হয়। যে সময় ভারত লাদাখ সীমান্তে ব্রিজ নির্মাণ শুরু করে। তখন থেকেই চিন ভারতের সীমানার ৮০০ মিটার দখলে রেখেছে বলে দাবি করছে সর্বভারতীয় চ্যানেলটি। ৬১ বছর আগেই এই এলাকা যে ভারতের দখলে থাকবে তাতা সম্মতি দিয়েছে চিন। তবে এখন সেই রাস্তা থেকে সরে আসছে তারা।
লাদাখ পরিস্থিতি
পরিস্থিতির সুরাহা করতে সম্প্রতি দুই দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার স্তরে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকার সীমান্তরেখা থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সীমান্ত থেকে তাদের গাড়ি, তাঁবুসহ সেনাবাহিনী দুই কিমি পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছে৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে সরাসরি ঘটনাস্থান পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে৷ তাঁবু ও কিছু সংখ্যক সেনাবাহিনী সরানো হলেও এলএসি-তে এখনও অস্ত্রসজ্জিত চিনা সেনাবাহিনীর গাড়ি উপস্থিত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ সম্পূর্ণ বিষয়টির উপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনা৷
অজিত-বাণীতে কিস্তিমাত!
এদিন , এলএসি নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে অজিত ডোভালের বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদদের একাংশ। সরকারের তরফে এদিন বলা হয়েছে, 'ভারত-চিন সীমান্ত বরাবর, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে দু'পক্ষের মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া দরকার বলে উভয়েই মত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি উভয়পক্ষই সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাড়তি সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সহমত পোষণ করে।'