
ধেয়ে আসছে ১৯টি ঝড় ও ৬টি হারিকেন আটলান্টিকের বুক চিরে! বিশ্ব আঙিনায় নয়া ত্রাস
করোনার সংক্রমণে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে বাংলায় তাণ্ডব চালিয়ে গিয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। বাংলাদেশও বিপর্যস্ত আম্ফানের তাণ্ডবে। আর একইসময়ে অস্ট্রেলিয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছেন সাইক্লোন ম্যাঙ্গা। ন্যাশনাল ওসিয়ান অ্যান্ড অ্যাটমোলস্ফায়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কিন্তু আরও খারাপ খবর দিল বিশ্বের জন্য। করোনাকে ছাপিয়েও ত্রাস সঞ্চার করবে সেই খবর।

আটলান্টিকের বুকে ১৯টি ঝড়, ৬টি হারিকেন
ন্যাশনাল ওসিয়ান অ্যান্ড অ্যাটমোলস্ফায়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, আটলান্টিকের বুকে তৈরি হচ্ছে অন্তত ১৩টি ঝড়। সব থকে বেশি ১৯টি ঝড় বয়ে আসতে পারে আটলান্টিকের বুক থেকে। এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও অন্তত ৬টি হারিকেন তছনছ করে দিতে পারে সব কিছু।

ঝড়গুলির বেশিরভাগই সাইক্লোনের রূপ নেবে
আবহবিদরা জানিয়েছেন, ওই ঝড়গুলির বেশিরভাগই সাইক্লোনের রূপ নেবে। এবং ঝড়গুলির সর্বনিম্ন গতিবেগ হবে ৩৯ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। অর্থাৎ ঝড়ের গতিবেগ সর্বনিম্ন ৬২.৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সাধারণত ঝড়ের গতিবেগ ৬৫ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে হলে তাকে সাইক্লোনের আখ্যা দেওয়া হয়।

অন্তত ১০টি ঝড় পরিণত হবে সুপার সাইক্লোনে
আবহবিদদের ধারণা, অন্তত ১০টি ঝড় তাণ্ডব রূপ নিতে পারে। সেই ঝড়গুলির গতিবেগ হতে পারে ১১১ মাইল বা ১৭৮.৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। বা তারও বেশি হতে পারে গতিবেগ। অর্থাৎ অন্তত ১০টি ঝড় সুপার সাইক্লোনের রূপ নেবে। এ বছরই অর্থাৎ ২০২০ সালে এতগুলি ঝড়ের মোকাবিলা করতে হবে বিশ্বকে।

প্রতি বছর বিশ্বে গড়ে ৮০টি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়
এই সাইক্লেন বা সুপার সাইক্লোন ছাড়া ৬টি হারিকেনও আছে। যার সর্বনিম্ন গতিবেগ হয় ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়কে আমেরিকা মহাদেশে ‘হারিকেন' বলে। দক্ষিণ আটলান্টিক এবং দক্ষিণ-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর ব্যতীত পৃথিবীর বাকি গ্রীষ্মমন্ডলীয় সাগরাঞ্চল যে ঝড় হয়, তা সাধারণভাবে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর বিশ্বে গড়ে ৮০টি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়।

আটলান্টিকের পাশাপাশি ক্যারিবিয়ান সমুদ্রেও ঝড়
এছাড়াও আবহাওয়ার আরও বেশ কিছু পরিবর্তন হবে এবার বিশ্বে। শুধুমাত্র আটলান্টিক নয়, তার সঙ্গে ক্যারিবিয়ান সমুদ্র সংলগ্ন এলাকাতেও ঝড়ের সৃষ্টি হবে। ক্রমেই এই ঝড়গুলি সক্রিয় হয়ে উঠচে বলে আবহবিদরা জানিয়েছেন। এই করোনার আভহে তাওই সাইক্লোন মোকাবিলাতেও প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে বিশ্বকে।
Recommended Video
