শীঘ্রই ফিরে আসছি, হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে কোন ইঙ্গিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের?
বুধবার মার্কিন সময় দুপুর ১২টায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি পদে শপথ গ্রহণ করবেন জো বাইডেন। তার আগে মার্কিন স্থানীয় সময় ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি বাইডেনের শপথ গ্রহণে থাকছেন না। ইতিমধ্যেই তিনি হোয়াইট হাউজ ছেড়েছেন। এয়ারফোর্স ওয়ান করে ফ্লোরিডার উদ্দেশে উড়ে গিয়েছেন। তবে যাওয়ার আগে ট্রাম্প বলে গেলেন, 'কোনও না কোনও ভাবে ফিরে আসব আমি।'

'শীঘ্রই কোনও না কোনও ভাবে ফিরে আসব'
এদিন তিনি বলেন, 'অসাধারণ ভাবে চার বছর কাটল। আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু করতে পেরেছি। আমি শীঘ্রই কোনও না কোনও ভাবে ফিরে আসব।' উল্লেখ্য, আগেই ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনি বাইডেনের শপথ-গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না৷ রীতি অনুসারে বিদায়ি প্রেসিডেন্ট এবং অন্য প্রেসিডেন্টরা নতুন প্রেসিডেন্টের পিছনের সারিতে বসেন৷ এটাকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবেও ধরা হয়৷

বিদায়ি ভাষণে কী বলেন ট্রাম্প?
এর আগে মঙ্গলবার নিজের বিদায়ি ভাষণ দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুলে ধরলেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর সাফল্যের কথা। এছাড়া আসন্ন সরকারকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানান তিনি৷ আগে থেকে রেকর্ড করা ১৯ মিনিটের একটি ভিডিওতে ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলার নিন্দা করেন৷ বলেন, অ্যামেরিকা বিশ্বস্ত এবং শান্তিকামী নাগরিকদের দেশ। এখানকার বাসিন্দারা সবসময় দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি চান।

'একসঙ্গে যা অর্জন করেছি তার জন্য আমি গর্বিত'
ভাষণে ট্রাম্প বলেন, 'আমার প্রিয় আমেরিকাবাসী, চার বছর আগে দেশের পুনর্গঠনের জন্য চেষ্টা শুরু করেছিলাম। সংক্ষেপে অ্যামেরিকাবাসীর কাছে পুনরায় এক মহান আমেরিকা বানানোর মিশনে ছিলাম৷ দলের সঙ্গে সবসময় আছি৷ আমরা একসঙ্গে যা অর্জন করেছি তার জন্য আমি গর্বিত৷' তাঁকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্য সমর্থকদের তিনি ধন্যবাদ জানান৷

'আমরা দেশে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছি'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা দেশে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছি৷ এবং বহির্বিশ্বে অ্যামরিকা নেতৃত্ব দিয়েছে৷ বিশ্বের ইতিহাসে সবথেকে সাবলীল অর্থনীতি তৈরি করেছি৷ আমরা আমাদের জোটকে পুনরুজ্জীবিত করেছি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে চিনের সামনে দাঁড়াতে সমাবেশ করেছি। যেটা আগে কখনও হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে আমি গর্বিত কারণ, দশকের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি কোনও নতুন যুদ্ধ শুরু করিনি।'

'আমরা চিনের উপর শুল্ক আরোপ করেছি'
ভাষণে ট্রাম্প আরও বলেন, 'সবথেকে গুতরুত্বপূর্ণ, আমরা চিনের উপর শুল্ক আরোপ করেছি। কিন্তু সবকিছু সামলে ওঠার আগেই গোটা বিশ্ব চিনের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক পরিবর্তন হচ্ছিল। আমেরিকায় কোটি কোটি ডলার ঢালা হয়েছে, কিন্তু এই মারণ ভাইরাস আমাদের দিক পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে।'