For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

তরমুজ: 'ন্যায্যমূল্য' নিশ্চিত করতে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

বাংলাদেশের সর্বত্র এখন খুচরা পর্যায়ে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তরমুজ বিক্রির ক্ষেত্রে এই অভিনব ব্যবসায়ীক কায়দা হতবাক করেছে সাধারণ ক্রেতাদের। বর্তমানে খুচরা বাজারে তরমুজের কেজি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

  • By Bbc Bengali

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা তরমুজের 'ন্যায্যমূল্য' নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র গরম এবং রমজানের কারণে বাংলাদেশে মৌসুমী ফল তরমুজের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম।

তরমুজ: ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

বাংলাদেশের সর্বত্র এখন খুচরা পর্যায়ে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক ক্রেতা আপত্তি জানাচ্ছেন। বর্তমানে খুচরা বাজারে তরমুজের কেজি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রির এই প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

এমন প্রেক্ষাপটে কেজি দরে তরমুজ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সাধারণ মানুষ যাতে 'ন্যায্যমূল্যে' তরমুজ এবং অন্যান্য ফল কিনে খেতে পারে সেজন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে মাদারীপুর জেলায়।

জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেন, সিন্ডিকেট করে যাতে বাজারে দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য তারা তৎপর রয়েছেন।

তিনি বলেন, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী তরমুজসহ যে কোন ফল পিস্‌ হিসেবে ক্রয় করে কেজি দরে বিক্রি করা যাবে না।

মি. হাসান জানান, তরমুজের দাম নিয়ে মানুষের অভিযোগ বেশি।

"এমন মানুষও আছেন, যারা আমাদের বলেছেন যে অত্যধিক দামের কারণে এ মৌসুমে তারা একটি তরমুজও কিনতে পারেনি। আমরা যেহেতু জনস্বার্থে কাজ করি সেজন্য মানুষের অভিযোগ আমলে নিয়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি," বলেন মি. হাসান।

খালেদা জিয়া হাসপাতালে, তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

দোকানপাট খোলা রাখার সময়সীমা বাড়িয়ে নতুন লকডাউনের প্রজ্ঞাপন

'আমি মুসলিম নই, কিন্তু আমি রোজা রাখি'

কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রির বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় জেলা রাজশাহীতে।

মো. আরিফ হোসেন বলেন, "কেজিতে তরমুজ বিক্রি করার কিছুই নেই। যারা এগুলো করে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।"

মো. বশির উদ্দিন উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি বিবিসি বাংলার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, "৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে। একটি তরমুজ যদি ১০ কেজি হয় তাহলে দাম হয় ৬০০ টাকা।"

তিনি প্রশ্ন তোলেন, এভাবে হলে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র মানুষে কিভাবে তরমুজ কিনে খাবে?

বাজারে দাম নজরদারি করার জন্য ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু আসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি না করে সেজন্য তাদের বলা হয়েছে। তিনি বলেন, এটা শুধু তরমুজ নয়, সব পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

তরমুজের 'ন্যায্যমূল্য' নিশ্চিত করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে।

বরিশাল শহরে কয়েকটি জায়গায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বেশ কিছু তরমুজ বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, আড়ৎ থেকে পিস্‌ হিসেবে তরমুজ কিনে খুচরা পর্যায়ে কেজি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা এক ধরণের প্রতারণা বলে উল্লেখ করেন সে কর্মকর্তা।

বিক্রেতারা কী বলছেন?

রাজশাহীর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন বলেছেন, তরমুজ পিস্‌ বা কেজি দুইভাবে বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের কোন সমস্যা নেই, দুটাই তাদের কাছে সমান।

তিনি দাবি করেন, রাজশাহী অঞ্চলে যুগ যুগ ধরে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হয়।

"তরমুজের দাম বাড়ার আসল কারণ হল গরম বাড়ার কারণে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন কম হয়েছে"।

"আমি গতকাল নাটোরের কয়েকটি জমি থেকে তিন গাড়ি মাল হবে আন্দাজ করে ১৩ লাখ টাকায় তরমুজ কিনে পরে দেখলাম সেসব জমির তরমুজে দুই গাড়ি ভর্তি করা গেল না। এখানে আমারে অন্তত আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি গুনতে হবে," বলেন শাহীন হোসেন।

এদিকে মাদারীপুর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, আড়ৎ থেকে পাইকারি তরমুজ পিস্‌ হিসেবে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এরপর খুচরা বিক্রেতারা সেটি কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন।

"মাপে বেচলে টাকা বেশি পাওয়া যায়। আমরা ২৫০ টাকায় বেচি ছয়-সাত কেজি ওজনের তরমুজ। আর কেজি হিসেব বেচলে ঐটার দাম হয় ৩৬০ টাকা থেকে ৪১০ টাকা," বলেন আব্দুল মান্নান।

English summary
Watermelon: Mobile court campaign to ensure 'fair price' in bangladesh
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X