ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর ইউএসসিআইআরএফ রিপোর্ট-কে 'হিন্দুফোবিক' বলল ওয়াশিংটনের হিন্দু সংস্থা
ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর ইউএসসিআইআরএফ রিপোর্ট-কে 'হিন্দুফোবিক' বলল ওয়াশিংটনের হিন্দু সংস্থা
সম্প্রতি ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর ইউএসসিআইআরএফ রিপোর্টকে 'হিন্দুফোবিক' বলে সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটনের একটি হিন্দু সংস্থা। ধর্মীয় সংস্থাটির বক্তব্য, এই প্রতিবেদন, হিন্দুফোবিক কমিশনের সদস্যদের কাজ৷ যদিও মুসলিম এবং খ্রিস্টান সংস্থাগুলি এই রিপোর্টের পর্যবেক্ষণগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে৷ ইউএসসিআইআরএফ রিপোর্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে 'বিশেষ উদ্বেগের দেশ' হিসাবে ঘোষণা করেছে। ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম বা ইউএসসিআইআরএফ রিপোর্ট ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে ভারত, চিন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য ১১টি দেশকে 'বিশেষ উদ্বেগের দেশ' হিসাবে মনোনীত করার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে সুপারিশ করেছে।
যদিও এই সুপারিশগুলি মার্কিন সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। হিন্দুপ্যাক্ট, ওয়ার্ল্ড হিন্দু কাউন্সিল অফ আমেরিকা একটি বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে যে ইউএসসিআইআরএফকে হিন্দুফোবিক সদস্যরা বানিয়েছেন৷ যদিও আমেরিকান মুসলিম ইনস্টিটিউশন (এএমআই) এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলি ইউএসসিআইআরএফ সুপারিশকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছে যে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা ২০২১ সালে 'উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ' হয়েছে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান-আমেরিকান খ্রিস্টান অর্গানাইজেশনস এবং ইন্ডিয়ান-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল পৃথক বিবৃতিতে ইউএসসিআইআরএফ সুপারিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
ইউএসসিআইআরএফ প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর একটি বিশেষ ভার্চুয়াল বিবৃতিতে ইউএসসিআইআরএফ কমিশনার অনুরিমা ভার্গব অভিযোগ করেছিলেন যে ভারতীয় সরকারী আধিকারিকরা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের উপর হওয়া ধর্মীয় নিপীড়নে সেরকম কোনও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এবং দেশের জনগণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবল সহিংসতায় জড়িত হলেও সরকারি আধিকারিকদের সে সব সহ্য করতে দেখা গিয়েছে!
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই, আমেরিকায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মধ্যে ২ প্লাস ২ বৈঠক ছিল৷ সেখানে প্রায় একইরকম মানবাধিকার ইস্যুতে আমেরিকাকে পাল্টা দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, 'দেখুন, যে কোনও দেশ যেমন আমাদের মানবাধিকার বিষয় মতামত দিতে পারে। সে রকমই আমরাও কিন্তু তাদের দেশে মানবাধিকার স্বার্থ, লবি এবং ভোটব্যাঙ্ক সম্পর্কে মতামত দেওয়ার সমান অধিকারী। সুতরাং, যখনই এ বিষয়ে আলোচনা হয়, আমি আপনাদের বলতে পারি যে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও চিন্তিত৷ এই দেশে যখন মানবাধিকারের সমস্যা দেখা দেয়, বিশেষ করে যখন সেগুলি যখন অভিবাসী ভারতীয়দের বর্ণবিদ্বেষের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় তখন আমরা তা নিয়ে আলোচনা করে থাকি।'