সিংহভাগ মানুষের সমর্থন! ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার মসনদে থাকবেন ভ্লাদিমির পুতিন?
সংবিধানে বিপুল সংস্কার এনে নিজের জন্য সিংহাসনের রাস্তা আরও পরিস্কার করতে উদ্যত হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই বিষয়টি মেনে না নিতে পেরেই রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর পদত্যাগের পরেই সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেন।
কী আছে পুতিনের প্রস্তাবিত সংস্কারে?
পুতিনের প্রস্তাবিত সংস্কার অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও বাড়বে। একইসঙ্গে আগের থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হবে দেশের সংসদ। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ঊর্ধ্বতনদের বেছে নিতে পারবে সংসদ। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে গণভোটের কথাও বলেছিলেন পুতিন। সেই ভোটই অনুষ্ঠিত হয় রাশিয়ায়। আর তাতে বিপুল সংখ্যক ভোটে পুতিনের স্বপ্ন পূরণ হল।
গণভোটে বিশাল জয় পুতিনের
গণভোটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে রায় দিল দেশটির সিংহভাগ ভোটার। ফলে আগামী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে আর বাধা রইল না পুতিনের। রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে ৭৭ শতাংশের বেশি ভোট সংবিধান সংশোধনের পক্ষে গেছে।
নির্বাচনের জয়ের অর্থ কী?
সংবিধান সংশোধনে গণভোট পুতিনের পক্ষে যাওয়ায় আরও দুই মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বৈধতা পাচ্ছেন তিনি। এর মানে, ২০২৪ সালের পর আবারও নির্বাচনে জিতলে আরও ১২ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন পুতিন। এক্ষেত্রে, প্রেসিডেন্ট পদে আপাতত পুতিনের থাকা নিয়ে কোনও সংশয় রইল না।
পূর্বতন সংবিধান অনুযায়ী কী হত পুতিনের?
রাশিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, এ বছর ক্ষমতা ত্যাগ করতে হতো পুতিনকে। এর আগে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুতিন চার বছরের জন্য ক্ষমতা দিয়েছিলেন বিশ্বস্ত দিমিত্রি মেদভেদের হাতে। কিন্তু এবার আর তা করেননি পুতিন। ক্ষমতার রাশ নিজের হাতে রাখতে তাই এই সংস্কার আনার কথা ভাবেন তিনি।
ভারতে উপার্জনের 'রাস্তা' বন্ধ চিনের! বেজিংকে ভাতে মারতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের