মধ্যরাতে বৈঠকে ট্রাম্প- মোদী, পাকিস্তানকে চিন্তায় ফেলতে পারে এমন কোনও সিদ্ধান্ত হবে কি
ট্রাম্প- মোদী বৈঠকে এইচ ওয়ান বি ভিসা প্রসঙ্গ তুলবে না ভারত, কৌশলগত আলোচনাই স্থান পাবে আলোচনার টেবিলে
মোদী- ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে তোলা হবে না এইচ ওয়ান বি ভিসা প্রসঙ্গ। সোমবার এমনটাই জানালেন আমেরিকায় এক ভারতীয় কূটনীতিক। মোদী- ট্রাম্প প্রথম বৈঠকে বন্ধুত্বপূর্ণ মজবুত সম্পর্ককেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সন্ত্রাস দমন নিয়ে দুই রাষ্ট্রই কড়া অবস্থান নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সন্ত্রাসদমনে পারস্পরিক সহযোগিতার একাধিক চুক্তিও স্বাক্ষর হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
সোমবার যখন নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার মুখোমুখি হবেন, ভারতে তখন গভীর রাত। কিন্তু এই বৈঠকে কী আলোচনা হতে পারে তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। তবে প্রথম বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যই প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান নিয়ে যৌথভাবে একটি কৌশল ঠিক করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই ভারতের বাজারে ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতি রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে আমেরিকা। তার জন্য ভারতে নিয়মের কড়াকড়িকেই দায়ী করেছেন মার্কিন সেনেটররা। এই ঘাটতি কীভাবে মেটানো যায় তাও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিন্তার কারণ। সেকারণেই মোদীর সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করতে তিনি বাড়তি সময় দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আলোচনার টেবিলে ঠাঁই পাবে তা হল সন্ত্রাসবাদ দমন। সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত ভারত- আমেরিকা দুই দেশই। মার্কিন মুলুকে সন্ত্রাসবাদ যে মেনে নেওয়া হবে না তা ক্ষমতায় আসার আগেই জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে কয়েকটি ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপও করেছেন তিনি যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। একই অবস্থা ভারতেরও। পাকিস্তান থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ কোনওভাবেই রোখা যাচ্ছে না। জঙ্গি হামলায় প্রায়দিনই প্রাণ যাচ্ছে সেনা জওয়ান বা পুলিশের। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে। অপরদিকে এনএসজি বা ন্যুক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে ভারতের সদস্যপদ পাওয়া নিয়েও কথা হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। এমনিতে ভারতের এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে আমেরিকা আপত্তি করেনি কখনই। বরং প্রতিবারই আপত্তি জানিয়েছে চিন।
তবে যে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সব থেকে বেশি, সেই এইচ ওয়ান বি ভিসা প্রসঙ্গ কিন্তু তোলা হবে না ভারতের পক্ষ থেকে। তবে কথায় কথায় ভিসা প্রসঙ্গ উঠতেই পারে বলে জানিয়েছেন ভারত সরকারের এক কূটনীতিক। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানিয়েছেন, প্রথম সাক্ষাতে কোনও অভাব- অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করবেন না দুই রাষ্ট্র প্রধান। আপাতত লক্ষ্য, ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকার সঙ্গে একটি মজবুত সম্পর্ক তৈরি করার।