চতুর্থ দফার উপজেলা ভোটে ব্যালট ছিনতাই, বোমাবাজি, নিহত এক
সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে। এই এলাকার আব্দুল গফফর কলেজের বুথের বাইরে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। নিহত হন বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথা আওয়ামী লীগের নেতা শামসউদ্দিন।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলাও কিছু কম যায়নি। এখানকার কন্দর্পপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে সকালেই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পরপর তিনটি বোমা ছোড়ে তারা। তার পর একদম ভোটকেন্দ্রের ভিতর ঢুকে পড়ে ব্যালট ছিনতাই করে। ভোটকর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই অনিয়মের প্রতিবাদে বিএনপি, আওয়ামী লীগ উভয়েই পুনরায় ভোট নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। এই আর্জি বিবেচনা করে দেখছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনাচক্রে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নিজের উপজেলা। অথচ এখানেই হিংসার ঘটনা ঘটল।
ভোটে ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে আটটি উপজেলায় অন্তত ২৫ জন প্রার্থী ভোট বয়কট করেছেন। এগুলি হল ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা, ভোলার মনপুরা ও দৌলতখান উপজেলা, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা এবং খুলনার একটি উপজেলা। এই প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সব দল সমর্থিত প্রার্থীরা রয়েছেন।
অন্যদিকে,
হিংসাত্মক
ঘটনার
জেরে
ছ'টি
উপজেলার
১৫টি
ভোটকেন্দ্রে
ভোট
নেওয়া
বন্ধ
করে
দিতে
হয়।
এই
উপজেলাগুলি
হল
চট্টগ্রামের
ফটিকছড়ি
উপজেলা,
কুমিল্লার
মেঘনা
উপজেলা,
সাতক্ষীরার
কলারোয়া
উপজেলা,
কক্সবাজারের
কুতুবদিয়া
উপজেলা,
সুনামগঞ্জের
ধরমপাশা
উপজেলা
এবং
নোয়াখালীর
বেগমগঞ্জ
উপজেলা।
প্রসঙ্গত,
চতুর্থ
দফায়
৯২টি
উপজেলায়
ভোট
হয়েছে।
এর
আগে
তৃতীয়
দফার
উপজেলা
নির্বাচনেও
হিংসার
ঘটনা
ঘটেছিল।
তখন
নির্বাচন
কমিশন
আশ্বাস
দিয়েছিল
যে,
এমন
ঘটনার
পুনরাবৃত্তি
হবে
না।
অথচ
বাস্তবে
দেখা
গেল,
সেই
হিংসার
ঘটনা
ঘটল
এবং
অনেক
বড়
আকারে
ঘটল!
পঞ্চম দফার উপজেলা ভোট হবে ৩১ মার্চ। ওই দিন ৭৪টি উপজেলায় ভোট নেওয়া হবে।