ভোটের ফলাফলে কনজারভেটিভেই আস্থা ব্রিটেনবাসীর, পাকাপাকি ভাবে সিলমোহর ব্রেক্সিটে
ভোটের ফলাফলে কনজারভেটিভেই আস্থা ব্রিটেনবাসীর, পাকাপাকি ভাবে সিলমোহর বেক্সিটে
গতকালই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ইংল্যান্ডে। বরিস জনশনের বিরুদ্ধে লেবার পার্টি একাধিক প্রচারাভিযান চালালেও তা যে সাধারণ মানুষ খুব একটা আমল দেয়নি তা ভোটের ফলাফল থেকেই স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই কনজারভেটিভরা ব্রিটেন পার্লামেন্টের প্রায় ৬৫০টি সিটের মধ্যে ৩২৬ টি আসনে জয়লাভ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। জয়লাভের পর বরিস জনশন সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই জয় ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া পাকাপাকি ভাবে সম্পন্ন করার জানাদেশ।
১৯৮৭-র পর বড় জয় পেতে চলেছে কনজারভেটিভরা
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা ১৯৮৭ সালে মার্গারেট থ্যাচারের এটিই সবচেয়ে বড় কনজারভেটিভ জয়। এদিকে ২০১৬ সালের গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। যা ইতিহাসের পাতায় ব্রেক্সিট বলে খ্যাত। তার আগে বেশ কয়েক দশক ধরেই ব্রিটেন এবং ইইউ-র অর্থনীতি এবং বাণিজ্য অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত ছিল। কিন্তু গণভোটে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তের পর দেশের অভ্যন্তরেই তৈরি হয় একাধিক দ্বন্দ্ব।
ব্রেক্সিট বিরোধীদের মুখতোড় জবাব দেবে এবারের নির্বাচনী ফলাফল
ইইউ ত্যাগ করার ফলে যাতে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কোনও ক্ষতি না হয় পাশাপাশি জনগণের চাকরিবাকরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসমস্ত সুবিধা এতদিন ভোগ করত সেগুলোতে যাতে কোনও ছেদ যেন না পড়ে তাও চুক্তির ভিত্তিতে ঠিক করে নেওয়ার সওয়াল ওঠে। সেই দাবিকে প্রাধান্য দিয়েই ২০ সপ্তাহ ক্ষমতায় থাকার পর এবারের দ্বিতীয়বারের জন্য ভোট পূর্ববর্তী প্রচারে নেমেছিলেন বরিস জনশন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা সেই সময় ব্রিটেনের পার্লামেন্টে যারা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে রায় দিয়ে ছিলেন তাদেরও মুখতোড় জবাব দিল এই নির্বাচনের ফলাফল।
ইইউ ত্যাগের প্রশ্নে তিন বছর ধরে অচলাবস্থা চলছে পার্লামেন্টে
বৃহস্পতিবার প্রথম ডিসেম্বরের নির্বাচনে লন্ডনে ভোট প্রক্রিয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ভোট দিতে দেখা যায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং বিরোধী দলনেতা জেরেমি করবিনকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন এধরণের নির্বাচনের মুখোমুখি আর হয়নি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এদিকে বৃহস্পতিবারের হওয়া সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের উপর দেশের বেশ কয়েকটি বৃহত্তর সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। অন্যদিকে ব্রেক্সিট অর্থাৎ ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা ইইউ ত্যাগের প্রশ্নে প্রায় তিন বছর ধরে অচলাবস্থা চলছে পার্লামেন্টে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই গত দুবছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয়বারের সাধারণ নির্বাচন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ক্ষমতায় কনজারভেটিভ পার্টি
ব্রেক্সিট প্রশ্নে ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের সরকারে ফিরছে কনজারভেটিভ পার্টি। অন্যদিকে জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি ব্রেক্সিটের পরিবর্তে তাদের নানা ধরণের রাষ্ট্রীয় কল্যাণমূলক কর্মসূচিকেই তাদের ভোট প্রচারের প্রধান হাতিয়ার করেছিল। একই সাথে চলতে থাকে বরিস বিরোধী প্রচারও। যদিও পরিশেষে বেক্সিটের পক্ষেই ফের একবার রায় দিল ইংল্যান্ডের জনগণ।
নাগরিকত্ব আইনকে প্রথম চ্যালেঞ্জ! সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ মহুয়া মৈত্র