করোনা রোধে চূড়ান্ত অব্যবস্থা পাকিস্তানে, সংক্রমণ থামাতে হয়রানির সাহায্য নিচ্ছে ইমরান প্রশাসন
পাকিস্তানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ লাগাম ছাড়িয়েছে। সেদেশে এখনও পর্যন্ত ১৬০০-র বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন করোনা সংক্রমণে। মারা গিয়েছে ১৮ জন। এদের মধ্যে অধিকাংশই পাঞ্জাপ প্রদেশের মানুষ বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই পাঞ্জাব প্রদেশেই এবার লাগু করা হল পাঞ্জাব ইনফেকশাস ডিজিজ অর্ডিন্যান্স।
পরিস্থিতি বেকায়দা দেখে পাঞ্জাবে পদক্ষেপ
এর আগে ইমরান খান সাফ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানে যাই হয়ে যাক তিনি লকডাউন ঘোষণা করবেন না। সার্ক-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে শুধু অনুপস্থিত ছিলেন ইমরান। সেই বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বসিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি করোনা নিয়ে এমন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সার্কের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে সকলকে চমকে দেয়। এরপরই ইমরানের পদক্ষেপ অনেককেই অবাক করে। তবে এখন পরিস্থিতি বেকায়দা দেখে পাঞ্জাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে সেদেশের সরকার।
অর্ডিন্যান্স জারি পাকিস্তানে
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে নতুন জারি করা অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী বলা, যদি সরকার মনে করে যে কোনও ব্যক্তি আইন ভাঙছে তবে সেই ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা ও জরিমানা করা জাবে। যদি একাধিক বার একই দোষ করতে দেখা যায় সেই ব্যক্তিকে তবে সেই ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের জেল হতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠছে এতদিন কোনও পদক্ষেপপ না নিয়ে হঠাৎ এই কঠিন আইন লাগু কেন করা হল?
দায়িত্বজ্ঞানহীন পাকিস্তান
এদিকে করোনা রুখতে যখন ইরান থেকে শুরু করে সৌদি আরব সহ গোটা মুসলিম বিশ্ব মসজিদে গিয়ে নমাজ আদায় করা বন্ধ করেছে, সেখানে পাকিস্তানে এরকম কোনও বিধিনিষেধ নেই। জানা গিয়েছে গত ১০ থেকে ১৫ মার্চ লাহোরে এক ধর্মীয় সমাবেশেরও অনুমতি দেওয়া হয় সেদেশে, যাতে যোগ দিয়েছিল আড়াই লক্ষ মানুষ।
পাকিস্তান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস
এর জেরে পাকিস্তান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণহীন এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে ফিরে করোন আক্রান্ত হয়েছেন ফিলিস্তিনের দুই বাসিন্দা। এছাড়া পাকিস্তান-ইরান সীমান্তেও করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান ভয়ে রয়েছে যে তাদের দেশে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস।
আক্রান্তদের পওকে-তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
এদিকে পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে পাঞ্জাব ও সিন্ধ প্রদেশে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হচ্ছে পিওকে ও গিলগিটে। সেখানে এদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। তবে এতে চটেছেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিটের বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, তাদেরকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এভাবে।
পাক সরকারের বিরুদ্ধে তোপ স্থানীয়দের
এর আগে বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা সেখানে কোরনা ছড়িয়ে পড়ায় পাকিস্তান সরকারকে দোষারোপ করেছিল। গিলগিটে চিনের অনেক প্রোজেক্ট রয়েছে। সেখানে চিনের সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে চিন থেকে আসা কর্মীদের মাধ্যমেই সেখানে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।