বাতিল পাঁচ দশকের পুরনো গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন, আমেরিকা জুড়ে প্রতিবাদ
বাতিল পাঁচ দশকের পুরনো গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন, আমেরিকা জুড়ে প্রতিবাদ
বাতিল হল গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন। শুক্রবার এই আইন বাতিল করা হল। প্রায় পাঁচ দশক পুরনো এই আইন বলে জানা গিয়েছে। আর সেটাই বাদ দিয়ে দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছে যে গর্ভপাত সাংবিধানিক অধিকার নয়। অর্থাৎ যে ইচ্ছে , যখন ইচ্ছে গর্ভপাত করাতে পারবে না। এতে নারী স্বাধীনতায় বড় ধাক্কা লাগল সে দেশে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুরু হয়েছে বিক্ষোভ
'রাইট টু অ্যাবর্ট' বন্ধ করে দেওয়ায় আমেরিকায় শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষোভ। জানা গিয়েছে যে , ফেসবুক, ডিজনির মতো বেশকিছু সংস্থায় শুরু হয়েছে এ নিয়ে প্রতিবাদ। ওই সংস্থার কর্মরত মহিলারা নেমেছেন বিদ্রোহ। তারা এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বলেছে যে গর্ভপাতের জন্য মহিলা কর্মীরা অন্য প্রদেশ যেতে পারে। অর্থাৎ আমেরিকায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ এবার যদি তারা এমন কোনও জায়গায় যেতে পারে যেখানে গর্ভপাত নিষিদ্ধ নয়। সেখানে যাওয়ার সমস্ত খরচ দেবে সংস্থাই।
আইনের ইতিহাস
১৯৭৩ সাল। রো বনাম ওয়েড মামলার রায় কার্যকরী হয়। তারপর আমেরিকায় গর্ভপাত সংক্রান্ত অধিকারের আইন চালু হিয় তখন। তারপর থেকে এই পাঁচ দশক ধরে এই আগুন লাগু ছিল। শুক্রবার সেই আইন খারিজ করে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। আদালত গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার পক্ষে রায় দিয়েছে ।
আদালত কী বলেছে ?
আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে, "আমেরিকার মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার সংবিধান কখনওই দেয়নি। এবার এই দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। তারা নিজের মতো বিভিন্ন রাজ্যতে নিজের মতো করে এই গর্ভপাতের অধিকার নিষিদ্ধ করতে পারবে। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি প্রদেশ গর্ভপাতকে আইনত নিষিদ্ধ করেছে। বাকিরাও ধীরে ধীরে সেই পথেই হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয় নিয়ে ডিজনির বলেছে, "বর্তমান জটিল পরিস্থিতিতে গর্ভপাত-সহ যাবতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে কর্মীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমাদের সংস্থা।" ফেসবুক বলেছে যে , "সংস্থায় যদি কোনও কর্মরত মহিলা মনে করেন তিনি গর্ভপাত করাতে চান, তাহলে তিনি করাতে পারেন। অন্য দেশে হলে সেখানে গিয়েও তিনি করাতে পারেন। এক্ষেত্রে তাঁদের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তারা যেতে পারেন। সংস্থা এই খরচ বহন করবে। এটাকে তারা হেলথ ট্রাভেল হিসাবে দেখছেন"। ডিক সাপোর্টিং গুডস স্বাস্থ্য সফর বাবদ প্রতি কর্মীকে ৪০০০ ডলার করে দেবে বলেছে। অ্যাপেল , মাইক্রোসফট, টেলসা একই পথে হাঁটছে।
কী বলছেন জো বাইডেন ?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই রায়ে খুশি নন। তিনি এই আইনকে সুপ্রিম কোর্টের রায় 'মর্মান্তিক ভুল' বলে ব্যখ্যা করেছেন। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেওয়ার পরে তিনি ভাষণ দেন। সেখানেই তিনি বলে দেন এর বিরুদ্ধে তিনি।