ভারতকে সঙ্গে নিয়ে জি ১১ তৈরির পরিকল্পনা আমেরিকার! চিনকে চাপে রাখতে জি ৭ নিয়ে হতে পারে বড় পদক্ষেপ
আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স - এই ছয়টি দেশ ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসে। এরপর ১৯৭৬ সালে কানাডার অন্তর্ভুক্তিতে তা পরিণত হয় জি ৭-এ। তবে এবার ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে জি ৭-এর আমন্ত্রিত দেশগুলির তালিকা সম্প্রসারণ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। এই কারণে জি ৭-এর সম্মেলন স্থগিত রেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকা এবার জি-৭ সম্মেলনের আয়োজন করছে
আমেরিকা এবার জি-৭ সম্মেলনের আয়োজন করছে। করোনার বিশ্ব মহামারীর মধ্যে এই সম্মেলনে চিনের বিরুদ্ধে সবাইকে এককাট্টা করতে উদ্যোগী ট্রাম্প। তাই তিনি বন্ধু মোদীকে আমন্ত্রণ জানান। ভারতকে উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিরও আবেদন করেন। যার বিরোধিতা করে চিন।
রাশিয়া ও ভারতকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষুব্ধ চিন
এদিকে চিনকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে আমেরিকা রাশিয়া ও ভারতকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষুব্ধ চিন। যদিও রাশিয়া চিনের হয়েই গান গেয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, 'জি৭-এর সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে একটি সঠিক পদক্ষেপ। তবে চিন ছাড়া বিশ্ব বাণিজ্যের কোনও সদার্থক দিশা খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমরা মনে করিনা।'
আমেরিকাকে তোপ দেগে চিনের বিবৃতি
এদিকে এই বিষয়ে চিনের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'সব আন্তর্জাতিক সংস্থারই উচিত, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে মিলে একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তুলে কাজ করা। সেখানে চিনের বিরুদ্ধে কোনও ছোট পরিসর তৈরি করার কথা যদি কেউ ভাবে তাহলে তা বোকামো হবে। সবার উচিত বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য কাজ করা।'
চিনের বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার হতে পারে জি ১১
বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির অনেকটাই চিনের উপর নির্ভরশীল। সেই নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে এক বিকল্প দিশা দেখাতে এই জি ৭-এর সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। বর্তমান নিরিখে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির সংজ্ঞা বদলেছে। সেই অনুসারে চিনকে কোণঠাসা করতে এই সম্প্রসারণ হতে পারে এক বড় হাতিয়ার।
কঠিন সময়ে মোদীর কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী! কী বললেন স্কট মরিসন?