আড়ালে আবডালে নয়, এবার খুল্লামখুল্লা ইউক্রেনকে সাহায্য করবে আমেরিকা
রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ প্রায় চার মাস হয়ে গিয়েছে। তব্য তা থামার নাম নেই। নাগাড়ে চলেই যাচ্ছে। হয়তো সেই পর্যায়ে আর যুদ্ধ হচ্ছে না তবে গোলাবর্ষণ জারি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এত একটা ছোট দেশ ইউক্রেন তা কীভাবে একটা যুদ্ধ এতদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে বহুদিন ধরেই প্রশ্ন উঠেছিল। আমেরিকা সহ বড় দেশগুলির সাহায্য ছাড়া তা সম্ভব নয়। আমেরিকা ভালোরকম সাহায্য করেছে ইউক্রেনকে। তবে এতদিন ধরে ইউক্রেনকে আমেরিকার যে সাহায্য সেটা অঘোষিত ছিল। এবার একদম ঘোষণা করেই ইউক্রেনকে সাহায্য করবে আমেরিকা। এমনটাই খবর মিলছে।
কী জানিয়েছেন বাইডেন ?
রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ঘোষণা করতে চলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়েছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত আর্টিলারি সাপোর্ট দিচ্ছে তারা। বিষয়টির সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির মতে, দেশকে রক্ষা করতে এই সাহায্যের দরকার ছিল। সেটা মিলেছে। রাশিয়ার চার মাসের আক্রমণের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
কী খবর মিলছে ?
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তির মতে, মাঝারি থেকে দীর্ঘ-পাল্লার প্রতিরক্ষা সিস্টেম দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নরওয়েজিয়ান-উন্নত অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম 'NASAMS' কিনছে। 'NASAMS' হোয়াইট হাউস এবং ওয়াশিংটনের ইউএস ক্যাপিটলের চারপাশে সংবেদনশীল আকাশসীমা রক্ষা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা ব্যবহৃত একই সিস্টেম।
মজুদ রয়েছে গোলা বারুদ
অতিরিক্ত সহায়তার মধ্যে ইউক্রেনীয় আর্টিলারির জন্য আরও গোলাবারুদ রয়েছে, সেইসাথে কাউন্টার-ব্যাটারি রাডার। ডনবাসে রাশিয়ান হামলার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য এই সাহায্য করা হয়েছে।
জি ৭ বৈঠক
এদিকে জার্মানিতে সাতটি অর্থনীতিতে শক্তিশালী দেশের শীর্ষ সম্মেলন চলছে এবং মাদ্রিদে ন্যাটো নেতাদের বার্ষিক সমাবেশে মিটিংয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন করার বিষয়ে এই সপ্তাহে বাইডেন মিত্রদের সাথে কথা বলেছেন। এসবের মাঝেই এই ঘোষণা হতে চলেছে বলে খবর মিলছে।
জার্মানিতে জি-৭ বৈঠকের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বিশ্বের কাছে অস্ত্র সরবরাহের আবেদন জানান। রাশিয়া গত সপ্তাহের শেষের দিকে ইউক্রেনের একাধিক শহরে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরফলে ইউক্রেনের এক নাগরিকের মৃ্ত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব ইউক্রেনের সেভেরোডোনেটস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়া নিয়েছে। জি-৭ সম্মেলনের ঠিক আগে ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ভয় দেখানোর জন্য বলে ইউক্রেন প্রশাসন মনে করছে।
ইউক্রেনের
প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির
জেলেনস্কি
একটি
ভিডিও
বার্তায়
পশ্চিমি
দেশগুলোকে
রাশিয়ার
বিরুদ্ধে
নিষেধাজ্ঞা
আরও
জোরদার
করার
আবেদন
করেন।
জি-৭
সম্মলনেও
রাশিয়ার
ওপর
নিষেধাজ্ঞা
নিয়ে
আলোচনা
শুরু
হয়েছে।
রাশিয়া
কিয়েভ,
উত্তর-পূর্ব
ইউক্রেনের
খারকিভ,
উত্তরের
চেরনিহিভ
ও
লাভিভকে
লক্ষ্য
করে
ক্ষেপণাস্ত্র
হামলা
চালায়।
এই
ক্ষেপণাস্ত্র
হামলার
ফলে
কিয়েভে
নয়তলা
বিল্ডিংয়ের
ওপরের
অংশটি
ধ্বংস
হয়ে
যায়।
সাত
বছরের
একটি
শিশু
গুরুতর
আহত
হয়।
অস্ত্রোপচার
করতে
হয়।
বর্তমানে
শিশুটির
শারীরিক
অবস্থা
স্থিতিশীল।
ওই
শিশুটির
মা
একজন
রুশ
নাগরিক।
তাঁকে
ধ্বংসস্তূপ
থেকে
উদ্ধার
করা
হয়েছে।