দক্ষিণ চিন সাগরের রিমোট কন্ট্রোল থাকবে জিনপিংয়ের হাতে! বাণিজ্য যুদ্ধে আমেরিকাকে কিস্তিমাত বেজিংয়ের?
ভারতরে লাদাখ নিয়ে চিনের বাড়াবাড়ি বরদাস্ত করছে না বিশ্ব। এই আবহে দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্রের উপর ক্রমেই আগ্রাসন বেড়েছে চিনের। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধে না গিয়ে শান্তি বজায় রাখা ক্রমেই খুব কঠিন কাজ হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে চিনের রক্তচাপ বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সগারে উপস্থিত।
মাইক পম্পেওর তোপ
এই আবহেই এদিন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও জানান, দক্ষিণ চিন সাগর সংলগ্ন তটে যেভাবে বেজিং আস্ফালন বাড়াচ্ছে তা অবৈধ। এলাকা দখল ও তাকে নিয়ন্ত্রণ করার পথে চিন যে আগ্রাসন দেখাচ্ছে তা মেনে নিচ্ছে না আমেরিকা। এমনই দাবি করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন দাবিকে নস্যাৎ করেছে চিন
এদিকে মার্কিন দাবিকে কার্যত সরাসরি নস্যাৎ করেছে চিন। পম্পেওর বক্বয়্কে উড়িয়ে দিয়ে বেজিং সাফ জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে সংঘাতে সরাসরি যুক্ত নয়। বিষয়টি নিয়ে বারবার বাইরে থেকে এসে আমেরিকা নাক গলানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করে আমেরিকায় অবস্থিত চিনা দূতাবাস।
উস্কানি দিচ্ছে আমেরিকা
চিনের দাবি, দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকা বারবার দ্বন্দ্বে উস্কানি দিচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগর সংলগ্ন এলাকায় যে স্থিরতা রয়েছে, তা বিঘ্ন ঘটাতেই চেষ্টা করছে আমেরিকা। এমন দাবি নিয়েই আমেরিকার আন্তর্জাতিক আইন সংক্রান্ত বার্তাকে নস্যাৎ করেছে বেজিং।
দক্ষিণ চিন সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চিনের চাল
আদতে সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চিন সমুদ্র সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিন সব সময়ই নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে৷ 'ঐতিহাসিক অধিকারের' উপর ভিত্তি করে দক্ষিণ চিন সমুদ্রের উপর চিনের কর্তৃত্বকে ২০১৬ সালের সালিশির মাধ্যমে প্রত্যাখান করা হয়েছিল৷ কিন্তু তারপরও এই দক্ষিণ চিন সমুদ্রের উপর থেকে নিজেদের নজর সরায়নি চিন৷
বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত চিন-আমেরিকা
দক্ষিণ চিন সমুদ্র বিশ্বের ব্যস্ততম সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট৷ এই পথ দিয়ে বার্ষিক ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়৷ যার ফলে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র প্রতিবেশী অঞ্চলগুলির উপর নয়, একাধিক দেশগুলির উপরও এই সামুদ্রিক বাণিজ্য রুটের প্রভাব রয়েছে৷ এছাড়া পূর্ব চিন সাগরে চিনের দাবিতেও ঝামেলায় পড়েছে আমেরিকা। উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে চিনের ইয়েলো সমুদ্র ও পূর্ব চিন সমুদ্রের অর্থনৈতিক জোনগুলি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ তার উপরে চিন জাপানের সেনকাকু বা ডিয়াওইউ দ্বীপগুলির উপর কর্তৃত্ব দাবি করে৷ এই এলাকার মাধ্যমে আন্তঃঅঞ্চল ও বিশ্ব বাণিজ্য হয়৷ যার ফলে চিনের এই এলাকার উপর কর্তৃত্ব দাবি একাধিক দেশের উপর প্রভাব ফেলছে।
বিজেপি আর সচিনের একই লক্ষ্য রাজস্থানে! 'আত্মরক্ষার পাঁচিল' বাঁচাতে ব্যস্ত রাহুলরা