ইউক্রেনে ঠায় দাঁড়িয়ে রুশ সৈন্য, যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন পশ্চিমী দুনিয়া
ইউক্রেনে ঠায় দাঁড়িয়ে রুশ সৈন্য, যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন পশ্চিমী দুনিয়া
আবারও বাজছে যুদ্ধের দামামা। এবার ইউক্রেন দখল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন রাশিয়া। এমনটাই দাবি আমেরিকার। রাশিয়া এই দাবি মানতে রাজি না হলেও আমেরিকা মনে করছে যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেন হামলা করতে পারে পুতিনের সৈন্যরা। আর তা নিয়েই উদ্বিগ্ন পশ্চিমী দেশগুলি।
মূল সমস্যা কোথায়?
ইউক্রেনের সীমানা ঘিরে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি এবং রাশিয়া। তবে রাশিয়ার সঙ্গে সংস্কৃতিক যোগ রয়েছে ইউক্রেনের। সেখানে বহু মানুষ রাশিয়ার ভাষাতেই কথা বলেন। রাশিয়ার অভিযোগ ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়ে চলেছে। ন্যাটোতেও তারা যোগ দিতে চলেছে। এতেই ক্ষুব্ধ রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেন যাতে ন্যাটোতে না যোগ দেয় সেই বিষয়টি তারা দেখতে বলেছিল। রাশিয়ার এই আর্জি নাকচ করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতেই ক্ষোভ বেড়েছে রাশিয়ার।
পশ্চিমী দেশগুলির গোয়েন্দা আধিকারিকরা কী বলছেন?
তাঁরা বলছেন, সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পূর্ব দিকে লক্ষাধিক সৈন্যের জমায়েত হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, ২০১৪ সালের ক্রিমিয়ার যেমন হানা দিয়েছিল রাশিয়া ফের সেরকম কিছুই করতে পারে তারা। তাই পশ্চিমী দেশগুলি ও মস্কোর মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। লাভের লাভ কিছু হয়নি। এলাকা থেকে সরেনি রাশিয়া সৈন্য।
রাশিয়া কী বলছে?
তারা আশ্বাস দিচ্ছে যুদ্ধের যে ভয় সবাই পাচ্ছে তা ভিত্তিহীন। তারাও যুদ্ধ চায় না। এর কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে এমন আশ্বাস দিলেও বিশ্বাস করতে পারছে না পশ্চিমী দেশগুলি। তারা পর্যবেক্ষণ করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে
যুদ্ধ
নিয়ে
পশ্চিমী
দেশগুলি
ও
রাশিয়ার
মধ্যে
আলোচনাও
হয়েছে।
পুতিন
জো
বাইডেনের
সঙ্গেও
এ
বিষয়ে
কথা
বলেছেন।
কিন্তু
হলে
কি
হবে?
রুশ
সৈন্য
ইউক্রেন
সীমান্ত
থেকে
নড়েনি।
যেখানে
ছিল
ঠিক
সেখানেই
রয়ে
গিয়েছে।
জেনেভায়
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে
সাম্প্রতিক
আলোচনার
পর,
রাশিয়ার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সের্গেই
রিয়াবকভ
আশ্বস্ত
করেছিলেন
'ইউক্রেন
আক্রমণ
করার
তাদের
উদ্দেশ্য
নেই।'
যেহেতু
রাশিয়া
সৈন্য
সরায়নি
তাই
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের
কর্মকর্তারা
তাই
রাশিয়ার
উপর
বিশ্বাস
করতে
পারছেন
না।
তাঁরা
বলছেন,
'রাশিয়া
এমন
কোনও
প্রমাণ
দেয়নি
যে
তারা
আক্রমণ
করবে
না।'
পাশাপাশি
পুতিনের
সাম্প্রতিক
বক্তব্যও
পশ্চিমী
দুনিয়াকে
উদ্বিগ্ন
করেছে।
তিনি
বলেছেন,
পশ্চিমের
'আক্রমনাত্মক
পদ্ধতির'
বিরুদ্ধে
'উপযুক্ত
প্রতিশোধমূলক
সামরিক
ব্যবস্থা'
নেওয়া
হবে।
গত
বুধবার
একটি
সাংবাদিক
সম্মেলনে,
বাইডেন
বলেন,
'আমি
মনে
করি
পুতিন
ইউক্রেনে
'অবস্থান
করবেন'।
তবে
আক্রমণ
নাও
হতে
পারে।'
সবমিলিয়ে
একটা
দোলাচলে
তাঁরা
রয়েছেন
তা
স্পষ্ট