লাদেন এপিসোডের পর ফের পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল আমেরিকা
আফগানিস্তান থেকে পাঁচবছর আগে নিখোঁজ হন এক মার্কিন মহিলা। তাঁর স্বামী কানাডার নাগরিক। সঙ্গে তাদের সন্তানও গায়েব হয়। সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ড্রোন পাকিস্তানে তাঁদের খোঁজ পায়।
২০১১ সালে পাকিস্তানে ঢুকে সেপ্টেম্বর হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেনকে এনকাউন্টারে খতম করে মার্কিন সেনা। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র গুড়িয়ে দেওয়ার দশ বছরের মধ্যে লাদেনকে খতম করে বিশ্বকে বার্তা দিয়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর দেশ। ফের একবার পাকিস্তানে ঢুকে হামলার ছক কষতে বাধ্য হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ঘটনা হল, আফগানিস্তান থেকে পাঁচবছর আগে নিখোঁজ হন এক মার্কিন মহিলা। তাঁর স্বামী কানাডার নাগরিক। সঙ্গে তাদের সন্তানও গায়েব হয়। সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ড্রোন পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের একটি অজ গাঁয়ে তাঁদের সন্ধান পেয়েছিল।
সেখানকার জঙ্গি ক্যাম্পে এক বিদেশি মহিলা ও শিশুর খোঁজ মেলে। পরে সন্দেহ করা হচ্ছিল সেই মহিলাই আফগানিস্তানে নিখোঁজ মার্কিন নাগরিক। পাকিস্তানে তিনি বন্দিদশা ভোগ করছিলেন।
এই খবর আসার পরই মার্কিন সেনা হাতা গোটাতে শুরু করে। মহিলাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিছু একটা আঁচ করে তার মাঝেই ওই মার্কিন মহিলা ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে জঙ্গিরা পাকিস্তানের আদিবাসী এলাকায় পাড়ি দিয়েছিল।
অন্যদিকে পাকিস্তানে থাকা মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদকে সতর্ক করে বলেন, ওই মার্কিন মহিলার পরিবারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। নাহলে ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের এনকাউন্টার যেভাবে হয়েছিল সেরকম পরিস্থিতিই তৈরি হতে পারে।
এই হুমকির পরই নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান সরকার। তড়িঘড়ি মহিলা কেইটলান কোলম্যান (৩১), তাঁর স্বামী জোশুয়া বয়লে (৩৪) ও তাদের তিন সন্তানকে উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও পাকিস্তানের দাবি, অপরাধীদের কাউকেই ধরা যায়নি। তারা পালিয়ে গিয়েছে। তবে একইসঙ্গে ফের একবার আমেরিকার সামনেও পাকিস্তানের মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস হয়ে গিয়েছে।