চিন-মার্কিন যুদ্ধ আসতে আর বেশি দেরি নেই? ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কোন সংকেত দেখছেন
চিন-মার্কিন যুদ্ধ আসতে আর বেশি দেরি নেই? ২ দশক আগের ভবিষ্যদ্বণী সফলের পর রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর তাবড় বার্তা
দুই দশক আগেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছিলেন যে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের প্রবল সংঘাত হবে। আর সেই সংঘাতের রূপ আগামী দিনে কেমন হতে চলেছে, তা নিয়ে মুখ খুললেন অধ্যাপক তথা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দন মার্সিমার। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীতে প্রবল আশঙ্কার তত্ত্ব উঠে আসছে।
করোনা নয় প্রসঙ্গ অন্য!
এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জন দাবি করেছেন, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাত শুধু করোনার সময় প্রকট হয়েছে। তলে তলে সংঘাতের আগুন বহুদিন ধরেই চলেছে। করোনাকাল এই সংঘাতে বিশেষ প্রভাব ফেলবে না। মার্কিন নির্বাচনের আগে তাঁর এই বার্তা রীতিমতো প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্যে ফেলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন চিনকে সহ্য করতে পারছে না আমেরিকা?
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মার্সিমারের দাবি, ২০ বছরে চিন আরও ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আর তার জেরেই এশিয়ার মুখ্য শক্তি হয়েছে চিন। আর শক্তিধর আমেরিকা নিজের থেকে বেশি শক্তিশালী হিসাবে কাউকে কোনও দিনও মানেনি। ফলে আগামীতে সংঘাতের রূপ আরও গুরুতর পর্যায়ে যেতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা।
যুদ্ধের আশঙ্কা?
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলছেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগেও বলা হচ্ছিল যে , যুদ্ধে গেলে কোনও দেশের লাভ হবে না। এখনও যুদ্ধ নিয়ে মানুষের মতামত একই আছে। তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে বহু কারণে। তিনি বলেন, দেশগুলির মধ্যে আর্থিক সহযোগিতার বাতাবরণ সত্ত্বেও নিরাপত্তার কারণে প্রতিযোগিতার জেরেই সংঘাত শুরু হয় । যা রক্তক্ষয়ী পর্যায়ে চলে যায়।
সহযোগিতা নয় এবার প্রতিযোগিতা..!
অধ্যাপক মার্শিমার বলছেন, চিন ও আমেরিকা আর্থিক সহযোগিতার পথ এখনই বন্ধ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য টিকটক প্রসঙ্গ তাঁর এই বার্তায় স্পষ্ট। তিনি বলছেন, যেখানে আমেরিকা আর্থিক সহযোগিতার পথ বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে এবার তারা প্রতিযোগিতার পথ চওড়া করছে। ফলে আগামী দিনে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন আসলেও, চিনের প্রতি বাইজেনের নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না।
কাশ্মীরে রুদ্ধশ্বাস এনকাউন্টার! ফের সেনার বড়সড় সাফল্য